সাকিবের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দুবাইয়ের দাপুটে জয়

ছবি: সাকিব আল হাসান

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নিরোশান ডিকওয়েলা ও সেদিকউল্লাহ অটলের ব্যাটে ভালো শুরু পায় দুবাই। তবে তাদের দুজনের জুটি দীর্ঘস্থায়ী হতে দেননি অঙ্গুশ শ। ডানহাতি স্পিনারের বলে ১৫ রান করে ফিরে গেছেন ডিকওয়েলা। পাওয়ার প্লে শেষের আগে আউট হয়েছেন গুলবাদিন নাইবও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাদিম অ্যালেইনেও ফিরেছেন দ্রুতই। তবে অন্যপ্রান্তে ঠিকই দ্রুত রান তুলে যাচ্ছিলেন সেদিকউল্লাহ। আফগান ওপেনারকে অবশ্য হাফ সেঞ্চুরি করতে দেননি ডিন ফক্সক্রফ্ট।
ব্যাটে-বলে বিবর্ণ সাকিব, দুবাইয়ের বড় হার
২১ ঘন্টা আগে
ডানহাতি অফ স্পিনারের বলে বোল্ড হয়েছেন ২৫ বলে ৪১ রান করা সেদিকউল্লাহ। পাঁচে নেমে চার মেরে রানের খাতা খোলেন সাকিব। পরের ওভারে ব্লেইর টিকনারকেও চার মেরেছেন তিনি। তবে জর্ডান জনসন ফেরায় একটু দেখেশুনে খেলতে থাকেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। যদিও একটু পর ফিরতে পারতেন তিনি নিজেও। তবে পয়েন্ট সাকিবের ক্যাচ নিতে পারেননি ফিল্ডার। জীবন পেয়ে সেটা কাজে লাগিয়েছেন দারুণ ভাবে। নিজে রান করার পাশাপাশি জেসে বোটানকে সঙ্গ দিয়েছেন তিনি।
১১ বলে ২০ রানের ক্যামিও খেলা বোটানকে ফেরান টিকনার। পরবর্তীতে ডমিনিক ড্রেকসকে সঙ্গে নিয়ে দুবাইকে টেনেছেন সাকিব। দারুণ ব্যাটিংয়ে ম্যাথু ফোর্ডকে চার মেরে ৩৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। পরবর্তীতে আরেকটি চার মেরে শেষ পর্যন্ত ৭ চার ও এক ছক্কায় ৩৭ বলে ৫৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। সাকিবের হাফ সেঞ্চুরিতে ২০ ওভারে ১৬৫ রান তোলে দুবাই। সেন্ট্রালের হয়ে শ তিনটি এবং টিকনার দুটি উইকেট নিয়েছেন।

সাকিবের জন্য সব সময় দরজা খোলা: মিঠু
৩ ঘন্টা আগে
এরপর বল হাতে নেমে প্রথম ওভারেই জোড়া উইকেট তুলে নেন সাকিব। তার প্রথম বলেই সুইপ করতে চেয়েছিলেন ইয়ং। তবে ব্যাটে বলে করতে পারেননি। বল সোজা আঘাত হানে প্যাডে। ফলে ১৯ রান করেই তাকে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যেতে হয়। তৃতীয় বলে ডিন ফক্সক্রফটকেও এলবিডব্লিউ করে আউট করেন বাংলাদেশি এই বাঁহাতি স্পিনার।
সাকিবের বলে ফ্রন্টফুট ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি। বল সোজা চলে যায় প্যাডে। এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন সেন্ট্রাল স্ট্যাগের এই ব্যাটারও। সেই ওভারে কোনো রানই খরচ করেননি সাকিব। এরপর ড্যান ক্লেভারকে ফিরিয়েছেন দুবাইয়ের আরেক বোলার আরায়ামান ভার্মা। দ্বিতীয় ওভারে এসে সাকিব জশ ক্লার্কসনকে বোল্ড করেছেন। সেই ওভারে মোটে ৭ রান খরচা করেন সাকিব।
তৃতীয় ওভারে উইকেট না পেলেও সাকিব ছিলেন মিতব্যয়ী। মাত্র ৮ রান দেন তিনি। এরপর ইনিংসের ১৭তম ওভারে নিজের শেষ ওভার করতে এসে উইলিয়াম ক্লার্ককে বোল্ড করেছেন সাকিব। পরের বলে ডগ ব্রেসওয়েলের বিরুদ্ধেও এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করেন সাকিব। তবে আম্পায়ার আউট দেননি। সেই ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়ে ১৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ইনিংস শেষ করেন সাকিব।
এরপর আর বেশি দূর এগোতে পারেনি সেন্ট্রাল স্ট্যাগস। তাদের ইনিংস থামে ৮ উইকেটে ১৪৩ রানে। সাকিবের ৪ উইকেট ছাড়াও দুটি উইকেট নিয়েছেন বিন তানভির। একটি করে উইকেট নেন ডমিনিক ড্রাকেস ও আরায়ামান ভার্মা।