স্কুল থেকে নতুন সাকিব-তামিমদের খুঁজে বের করতে চান বুলবুল

ছবি: গণমাধ্যমে কথা বলছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল, ক্রিকফ্রেঞ্জি

বক্তারা জানিয়েছেন, দেশের প্রতিটি অঞ্চলে ক্রিকেট কার্যক্রম ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ। আঞ্চলিক ক্রিকেট কাঠামো কার্যকর হলে জেলা পর্যায়ের ক্রিকেটারদের নিয়মিত খেলার সুযোগ তৈরি হবে, যারা দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পর্যায়ে সুযোগের বাইরে ছিলেন।
ফিক্সিং কাণ্ডের প্রাথমিক রিপোর্ট দেখে কারও নাম প্রকাশ করবে না বিসিবি
২৬ আগস্ট ২৫
হাবিবুল বাশার বলেন, 'আঞ্চলিক ক্রিকেট থাকলে যেটা থাকবে, ওদের নিজস্ব লিগ থাকবে, নিজেদের টুর্নামেন্ট থাকবে। তখন সবাই খেলার সুযোগ পাবে। ঢাকায় তো সবার খেলার সুযোগ হয় না। এটা সবার জন্যেই সুযোগ। অনেক প্রতিভাবান আছে যারা সুযোগ পায় না।'
তিনি আরো বলেন, 'রিজিওনাল ক্রিকেট চালু হলে হিডেন প্রতিভাবানরা তখন আর হিডেন থাকবে না। তখন তারা টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে—সব ধরনের খেলা চালিয়ে যেতে পারবে।'

আকরাম খান এই টুর্নামেন্টকে 'পাইলট প্রজেক্ট' হিসেবে দেখছেন। তার ভাষায়, 'আমরা একটা টুর্নামেন্ট তাড়াহুড়ো করে করেছি। বলতে গেলে এটা সিজনও না আবার অফ সিজনও না। একটা ঝুঁকি নিয়ে করেছি। ভবিষ্যতের জন্য আমরা একটা রাস্তা খুলে দিলাম।'
এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ ফি বাড়ল ক্রিকেটারদের
৭ আগস্ট ২৫
তিনি আরো বলেন, 'চট্টগ্রাম বিভাগে ১১টি জেলা আছে। এই ১১টি জেলা আগে কখনও একসাথে খেলেনি। এবার তারা খেলার সুযোগ পাচ্ছে। এটা শুধু চট্টগ্রামের ক্রিকেটারদের জন্য না, বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্যও ভালো।'
বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল আগামী দিনের সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালদের খুঁজে আনার ব্যাপারে জোর দিয়েছেন। স্কুল ক্রিকেটকে ধেলে সাজানোর পরামরশ দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, 'ক্রিকেট সেন্ট্রালি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। কিন্তু সাথে যদি আঞ্চলিক ক্রিকেটের সাথে সিঙ্ক করা যায়, তাহলে আরও ছড়িয়ে যাবে। বিকেন্দ্রীকরণ শুধু প্রতিযোগিতার জন্য না, প্রতিটি জেলায় যেন ক্রিকেটের নিজস্ব পরিবেশ গড়ে ওঠে।'
তিনি আরো বলেন, 'দেখেন আগামী দিনের তামিম-সাকিব-মুশফিক-রিয়াদ, এরা সবাই এখনো স্কুলে আছে। এটা আমাদের দায়িত্ব কীভাবে এই প্রতিভাগুলোকে সঠিক পথে আনা যায়। স্কুল ক্রিকেটকে এবার আমরা নতুনভাবে আয়োজন করব।'