সিলেটের উইকেট যেন দ্বিমুখী সাপ

ছবি: ছবি- বিসিবি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
সিলেটের উইকেট পেস বোলিং সহায়ক হবে, টেস্টের আগে অনেকেই বলেছিলেন এমন। কিন্তু সবাইকে অবাক করে মাত্র একজন প্রকৃত পেসার নিয়ে সিলেটের অভিষেক টেস্টে নেমেছে বাংলাদেশ। এর মূল কারণ সিলেটের উইকেটের অপ্রত্যাশিত আচরণ।
দুই বছর আগেও এই উইকেটে দারুণ বাউন্স ছিল, জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ পেসার হিসেবে দলে জায়গা পাওয়া পেসার আবু জায়েদ রাহি। যা সহায়তা করত পেসারদের, কিন্তু এখন হঠাৎই রূপ বদলে ফেলেছে এখানকার উইকেট। যা লক্ষ্য করা গেছে সিলেটে আয়োজিত এবারের জাতীয় লিগের খেলাগুলোতে। যেখানে দল গুলো দুইজন পেসার নিয়ে খেললেও তেমন কিছু করে দেখাতে পারেননি পেসাররা।

বিষয়টি নজরে এসেছে নির্বাচকদের। উইকেটের এমন অনিশ্চিত আচরণের কথা মাথায় রেখেই এমন দল সাজিয়েছেন নির্বাচকরা, মনে করছেন রাহি।
'দুঃখজনক কিছু না। ম্যানেজমেন্ট ভাল বুঝতে পারছে উইকেটটাতে আসলে ভাল পেস বোলিং হবে না। বেশ কিছু দিন থেকে কিন্তু সিলেটের উইকেট নিয়ে আমাদের ডাউট লাগতেছে কি হবে না হবে। ২০১৩-১৪ তে সিলেটের উইকেট অনেক বাউন্সি ছিল। কিছু দিন ধরে,দুই বছর ধরে এমন হয়ে গেছে।
'এবার জাতীয় লিগেও আমরা তিন পেসার নিয়ে খেলেছি। দুই পেসার সাত, সাত ১৪ ওভার বল করেছে। সো আমার মনে হয় টিম ম্যানেজমেন্ট যা ভাল মনে করছে সেটাই করছে,' টেস্টের প্রথম দিন শেষে বলেছিলেন রাহি।
তবে এমন উইকেটেও নিজের ভাল পারফর্মেন্সটা দিতে পারবেন বলে বিশ্বাস করছেন দেশের হয়ে পেস বোলিং বিভাগকে নেতৃত্ব দেয়া রাহি। 'সম্ভব কিনা আমি চেষ্টা করছি। আর মনে হয় সম্ভব। কারণ এসব উইকেটে তো খেলতে হয় আমার। আমি পুরনো বলে বল করতে পছন্দ করি।'
যদিও রাহি জানিয়েছেন পুরনো বলের বোলিং উপভোগ করেন তিনি। তবে শনিবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে নতুন বলেও দারুণ ছিলেন এই পেসার। দিন শেষে রাহির বোলিং ফিগার, ১৮ ওভারে ৩.৩৮ ইকনমিতে এক উইকেট।