টানা এগার সিরিজ জয় পাকিস্তানের

ছবি: পাকিস্তান দল

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
প্রথম ম্যাচে দুই রানের জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে দুই বল হাতে রেখে জয়। এরই সাথে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজে ২-০ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে পাকিস্তান। এ জয়ে টানা এগারটি টি-টুয়েন্টি সিরিজ এবং টানা আটটি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ জিতল পাকিস্তান।
২ নভেম্বর দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ টি-টুয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সফরকারীরা। প্রথম ম্যাচের ন্যায় এ ম্যাচেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন ওপেনার গ্লেন ফিলিপস।
মাত্র ৫ রান করে শাহিন শাহ্ আফ্রিদির বলে উইকেটরক্ষক সরফরাজ আহমেদের কাছে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। দলীয় ৫০ রানে প্রথম উইকেট পড়েছিল কিউইদের। কিন্তু এরই মধ্যে ব্যাট হাতে তান্দব চালান আরেক ওপেনার কলিন মুনরো।
তিনে নেমে মুনরোর সাথে জুটি গড়তে চেয়েছিলেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। কিন্তু ২৮ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলা মুনরোকে স্টেম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ। মুনরোর বিদায়ের পর কিউইদের মিডেল অর্ডারে ধ্বস নামে।
রস টেইলর, গ্র্যান্ডহোম ফিরে যান দুই অংকের ঘরে না যেতেই। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে ৩৪ বলে ৩৭ রান করেন দলীয় অধিনায়ক। সাথে অপরাজিত থেকে ২৫ বলে ৪৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন কোরি অ্যান্ডারসন।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান সংগ্রহ করে সফরকারীরা। স্বাগতিকদের হয়ে তিন উইকেট নেন পেসার শাহিন শাহ্ আফ্রিদি এবং একটি করে উইকেট নেন ইমাদ ওয়াসিম এবং হাফিজ।
১৫৪ রানের জবাবে দারুণ শুরু করেন পাকিস্তানি দুই ওপেনার ফখর জামান এবং বাবর আজম। ৪০ রানের জুটি গড়েন তাঁরা দু'জন। ১৫ বলে ২৪ রান করা ফখরকে ফেরান কিউই পেসার অ্যাডাম মিলনে।
এরপর আবার জুটি গড়ায় মনোযোগ দেন তিনে নামা আসিফ আলি এবং বাবর। ৫৬ রানের জুটি গড়ে ফেরেন বাবর। ৪১ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। বাবরের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকা হয়নি আসিফের।
৩৪ বলে ৩৮ রান করা এই ব্যাটসম্যানকে ফেরান মুনরো। কিন্তু দায়িত্ব নিয়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন হাফিজ। অপরাজিত থেকে খেলেন ২১ বলে ৩৪ রানের ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ১৯.৪ ওভারে ছয় উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিক পাকিস্তান।
সফরকারীদের পক্ষে সর্বোচ্চ দুই উইকেট নেন মিলনে। সাউদি এবং মুনরো নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
টসঃ নিউজিল্যান্ড
নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসঃ ১৫৩/৭ (২০ ওভার); (মুনরো ৪৪, অ্যান্ডারসন ৪৪; শাহিন শাহ্ আফ্রিদি ৩/২০)।
পাকিস্তান প্রথম ইনিংসঃ ১৫৪/৪ (২০ ওভার); (বাবর ৪০, আসিফ ৩৮; মিলনে ২/২৫)।
ফলাফলঃ পাকিস্তান ছয় উইকেটে জয়ী।