অ্যাশেজে খেলতে ঝুঁকি নিতে রাজি কামিন্স

ছবি: সংবাদ সম্মেলনে প্যাট কামিন্স

এই চোটের কারণে তিনি নিউজিল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে আসন্ন সীমিত ওভারের সিরিজ খেলতে পারবেন না। অবশ্য অস্ট্রেলিয়া দলের প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি আশা প্রকাশ করেছেন কামিন্স অ্যাশেজের প্রথম ম্যাচেই মাঠে নামবেন এবং দলকে নেতৃত্ব দেবেন। আগামী ২১ নভেম্বর পার্থে শুরু হবে অ্যাশেজ সিরিজ।
বিশ্রামে কামিন্স-স্টার্ক, অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলে ওয়েন
৩০ জুলাই ২৫
এতদিন নিজের চোট নিয়ে কোনো মুখ খুলেননি কামিন্স। তবে এবার প্রকাশ্যে কথা বলেছেন অজি অধিনায়ক। তিনি জানিয়েছেন অ্যাশেজ সিরিজ মাঠের বাইরে বসে দেখতে চান না তিনি। রিহ্যাব শেষ করে সময় মতোই সুস্থ হতে পারবেন বলে আশাবাদী অজি অধিনায়ক।
কামিন্স গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন, 'এমনটা ঘটলে তা হবে সত্যিই দুঃখজনক। তাই আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে যাতে আমি সময়মতো ফিট হতে পারি। কিছু সিদ্ধান্ত আরও কাছাকাছি সময়ে নেব, তবে আমি আত্মবিশ্বাসী রিহ্যাব ঠিকভাবে সম্পন্ন করে মাঠে নামতে পারব।'

অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের কাছে অ্যাশেজ যেন বাঁচা মরার লড়াই। কামিন্সের কাছেও এই শিরোপার গুরুত্ব কম নয়। অ্যাশেজ নিয়ে কামিন্স বলেছেন, 'অ্যাশেজ বড় সিরিজ। এর চেয়ে বড় কিছু নেই। তাই যতটা সম্ভব টেস্ট খেলতে হলে কিছুটা ঝুঁকি নিতে এবং আক্রমণাত্মক হতে রাজি আছি।'
ওপেনার হিসেবে ল্যাবুশেনকে ফেরানোর আহ্বান পন্টিংয়ের
১০ আগস্ট ২৫
জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ৩-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জয়ের পরেই চোট অনুভব করেন কামিন্স, যদিও এ সিরিজে তিন টেস্টে মাত্র ৬০ ওভার বল করেছিলেন তিনি। সেই সিরিজ শেষেই বিশ্রামে ছিলেন কামিন্স, অপেক্ষায় ছিলেন ছন্দে ফেরার। তবে তেমনটা হয়নি।
এ ব্যাপারে কামিন্স বলেন, 'ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিরিজ শেষে আরেকটি মাস বিশ্রাম নিয়েছি। যাতে সমস্যাটা কমে। সোমবার আরেকটা স্ক্যান করলাম-খুব খারাপ কিছু না, তবে তা যথেষ্ট সাবধান হওয়ার জন্য যথেষ্ট। তাই এখন সতর্ক থাকতে হবে।'
বর্তমান অবস্থা নিয়ে অজি অধিনায়ক বলেছেন, 'এখন তেমন খারাপ লাগছে না, তবে আমি এখন বোলিং করছি না। হাড়ের ইনজুরিতে আসল ব্যাপারটা হলো তাকে (শরীরকে) শান্ত রাখা। আমি এখনও জিম করছি, তবে দৌড়ানো বা বল করা থেকে আপাতত বিরত থাকছি। এগুলো ঠিক হলে ধীরে ধীরে সামারের জন্য প্রস্তুতি নেব। হাতে অনেক সময় আছে—প্রায় ১২ সপ্তাহ বাকি প্রথম টেস্টের আগে। দেখা যাক সামনে কেমন অগ্রগতি হয়।'
যদি কামিন্স ফিট না হন, অস্ট্রেলিয়ার কাছে অবশ্য নেতৃত্ব ও বোলিং—দুটোরই বিকল্প রয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আগের টেস্টে হ্যাটট্রিক করা স্কট বোল্যান্ড নিশ্চিতভাবেই দলে আসবেন। আর অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করার জন্য তৈরিই থাকবেন স্টিভেন স্মিথ। এর আগেও বেশ কয়েকবার স্মিথ তার বদলি হিসেবে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।