বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলে টেস্ট থেকে অবসর নেবেন ম্যাথিউস

ছবি: ফাইল ছবি

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ২০ ওভারের ক্রিকেট বিশ্বকাপকে সামনে রেখে চলতি বছরের বেশিরভাগই সীমিত ওভারের ম্যাচ খেলবে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ শেষে লঙ্কানদের পরের টেস্ট ২০২৬ সালের মে মাসে। অর্থাৎ ম্যাথিউসকে পরের টেস্ট খেলার জন্য অপেক্ষা করতে হতো প্রায় এক বছরের মতো। আগামী সপ্তাহে ৩৮ বছরে পা দিতে যাওয়া ম্যাথিউস তাই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন।
এক মাসের জন্য শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং পরামর্শক ইংল্যান্ডের বুন
১৬ মে ২৫
এ প্রসঙ্গে ম্যাথিউস বলেন, ‘গত ১৭ বছর শ্রীলঙ্কার হয়ে ক্রিকেট খেলা সবচেয়ে বেশি সম্মানের এবং গৌরবের। আমি ক্রিকেটকে সবকিছু দিয়েছি এবং বিনিময়ে ক্রিকেটও আমাকে সবকিছুই দিয়েছে। আজকে আমি যা হয়েছি সেটার ক্রিকেটের বদৌলতেই। জুনে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট দেশের হয়ে লাল বলের ক্রিকেটে আমার শেষ ম্যাচ হয়ে থাকবে।’

সবশেষ অস্ট্রেলিয়া সিরিজে টেস্ট খেললেও লম্বা সময় ধরেই সাদা বলের ক্রিকেটে নেই ম্যাথিউস। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এখনই সীমিত ওভারের ক্রিকেট ছাড়ছেন না তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার স্কোয়াডে থাকলেও থাকতে পারেন ম্যাথিউস। ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি যে ছাড়ছেন না সেটা নির্বাচকদের জানিয়েছেন তারকা এই অলরাউন্ডার।
ম্যাথিউস বলেন, ‘নির্বাচকদের সঙ্গে আলোচনা করে টেস্ট ফরম্যাটকে বিদায় জানালেও, আমার দেশের যখন প্রয়োজন হবে, তখন সাদা বলের ফরম্যাটের জন্য আমাকে পাওয়া যাবে।’ ক্যারিয়ারের ভালো ও খারাপ সময়ে পাশে থাকা শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ভক্তদের ধন্যবাদ দিয়েছেন ম্যাথিউস।
২০০৯ সালের জুলাইয়ে গলে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় ম্যাথিউসের। এখন পর্যন্ত লঙ্কানদের হয়ে ১১৮ টেস্টে ১৬ সেঞ্চুরি, ৪৫ হাফ সেঞ্চুরি ও ৪৪.৬২ গড়ে ৮ হাজার ১৬৭ রান করেছেন তিনি। টেস্টে লঙ্কানদের মাঝে ম্যাথিউসের চেয়ে বেশি রান আছে কেবল কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়াবর্ধনের। এদিকে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে বল হাতে নিয়েছেন ৩৩ উইকেট। শ্রীলঙ্কাকে ৩৪ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন ম্যাথিউস। তাঁর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় জয় ২০১৪ সালে হেডিংলিতে।
সেই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬০ রান করে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন তিনি। ব্যাটার হিসেবে ম্যাথিউস ক্যারিয়ারের সেরা সময় পার করেছেন ২০১৩ থেকে ২১৫ সাল পর্যন্ত। ৫ কিংবা ৬ নম্বরে ব্যাটিং করে ওই সময়ের মাঝে ৫৯.৪৫ গড়ে ২ হাজার ৩৭৮ রান করেছিলেন তিনি। ক্যারিয়ারে আর কখনো এমন ছন্দে ফিরতে পারেননি তিনি। তবে ২০২২ ও ২০২৩ সাল মিলে ৫১.১৫ গড়ে ২ হাজার ১৪১ রান করেছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার।