বাংলাদেশের পেস বিপ্লবে মুগ্ধ স্টুয়ার্ট ল

ফাইল ছবি
একটা সময় মানসম্পন্ন পেসারের জন্য হাপিত্যেশ করা বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে হয়ে উঠেছে পেসারদের কারখানা। সবশেষ কয়েক বছরে পেসারদের পরিবর্তনে ‘পেস বিপ্লব’ও হয়ে গেছে দেশের ক্রিকেটে। মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে দলের কাণ্ডারি হয়ে উঠেছেন তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিবরা। বাংলাদেশের পেসারদের এমন পরিবর্তনে মুগ্ধ হয়েছেন স্টুয়ার্ট ল।

promotional_ad

২০১১ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ল। যদিও পারিবারিক কারণে ৯ মাস পরই বাংলাদেশের চাকরি ছেড়ে অস্ট্রেলিয়ায় ফিরতে হয় তাকে। ওই অল্প সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশকে ২০১২ এশিয়া কাপের ফাইনালে তুলেছিলেন ল। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ব্যাটারের সময়টায় বাংলাদেশের হয়ে পেস বোলিংকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ডানহাতি পেসারের সঙ্গে ছিলেন শাহাদাত হোসেন, শফিউল ইসলাম ও নাজমুল হোসেন।


আরো পড়ুন

২ বছরের জন্য নেপালের প্রধান কোচ স্টুয়ার্ট ল

২৯ মার্চ ২৫
নেপালের নতুন প্রধান কোচ স্টুয়ার্ট ল

একটা সময় পেসারদের একাদশে সুযোগ দেয়াই কঠিন হয়ে যেতো টিম ম্যানেজমেন্টের। শুরুর সময়টায় আব্দুর রাজ্জাক, মোহাম্মদ রফিক, সাকিব আল হাসান, তাইজুল ইসলাম কিংবা পরবর্তীতে মেহেদী হাসান মিরাজদের স্পিনের উপর ভরসা করতে হতো তাদের। তবে সবশেষ কয়েক বছরে বদলে গেছে দেশের পেস বোলিংয়ের প্রেক্ষাপট। একটা সময় পেসারদের কাজটা শুধু বল পুরনো করা হলেও এখন দায়িত্ব নিয়ে ম্যাচ জেতাচ্ছেন।


মাশরাফি যখন শেষের পথে তখন উঠে এসেছেন মুস্তাফিজ, তাসকিনরা। তবে গত কয়েক বছরে দেশের ক্রিকেটে পেস বিপ্লব ঘটাতে সুযোগ কাজ লাগিয়েছেন শরিফুল, তানজিম, ইবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদ, হাসান মাহমুদরা। ঘরোয়া ক্রিকেট কিংবা পাইপলাইনেও আছে বেশ ক’জন প্রতিশ্রুতিশীল পেসার। বাংলাদেশের পেসারদের এমন পরিবর্তন দূর থেকেই দেখেছেন ল। ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে আলাপে নিজের মুগ্ধতার কথাও জানালেন তিনি।


promotional_ad



আরো পড়ুন

লিপুর চোখে সাইফ একের ভেতর চার

৪০ মিনিট আগে
প্রধান নির্বাচক লিপু এবং সাইফ হাসান

এ প্রসঙ্গে ল বলেন, ‘২০১২ সালের সাথে যদি এখনকার তুলনা করি তাহলে পেস বোলিংয়ের পরিবর্তন আমাকে মুগ্ধ করেছে। একজনের নাম বলবো না। তারা বেশ কয়েকজন পেসার পেয়েছে। তারা কঠোর পরিশ্রম করে। আর বাংলাদেশে এত গতিতে বোলিং করা সহজ নয়। এটা পুরোটা কঠিন পরিশ্রমের ব্যাপার।’


বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালের ক্রিকেটের তুলনায় তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো একটা দল বানানোর চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ তো এগিয়ে গেছে, তাদের দলে এখন দুর্দান্ত সব পেসার আছে। তাদের বেশ কয়েকজন পেসার ১৪০ কি.মি কিংবা তাঁর চেয়েও বেশি গতিতে বোলিং করছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টিকতে হলে আপনার এটাই প্রয়োজন। ব্যাটিংয়ের দিক থেকে যদি চিন্তা করি বাংলাদেশ ও নেপাল প্রায় একই ধরনের। তাদেরও ভালো স্কিল ছিল, এখনকার নেপালের ব্যাটারদেরও স্কিল আছে। আমরা পেসার তৈরির চেষ্টা করছি, আমার মনে হয় আসতে শুরু করেছে।’


জাতীয় দলের পাশাপাশি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের টেকনিক্যাল উপদেষ্টার দায়িত্বেও ছিলেন ল। ২০১৬ সালে তাঁর অধীনেই যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলেছিলেন মিরাজরা। ওই দলের হয়ে খেলেছিলেন জাকের আলী অনিক, জাকির হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, সাইফ হাসান ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতরা। ল জানিয়েছেন, এখনো তাদের অনেকের সাথে হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর কথা হয়।


বাংলাদেশের সাবেক প্রধান কোচ বলেন, ‘অনেক ক্রিকেটারের সঙ্গেই আমার কথা হয়। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে যখন কাজ করেছি তাদের অনেকের সাথেই আমার এখনো কথা হয়। পরামর্শ নিতে তারা হোয়াটসঅ্যাপে আমাকে ভিডিও পাঠায়। আমি সবসময় তাদেরকে বলি যদিও তোমাদের কোচ নই তবে যখনই প্রয়োজন হবে আমাকে নক করবে।’



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball