৭ উইকেটের হার দিয়ে টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি শেষ করলেন সোহানরা

ছবি: এনটি ক্রিকেট

টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের যাত্রাটা ছিল উত্থান-পতনে ভরা। শুরুর দিকের ম্যাচগুলোতে ব্যাটিং অর্ডারের অস্থিরতা ও উইকেট হারানোর প্রবণতা থাকলেও ঘুরেও দাঁড়িয়েছিল সোহানের দল। তবে ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি তারা। পাকিস্তান শাহীন্সের বিপক্ষে ৭৯ রানের হার দিয়ে শুরু।
ল্যাঙ্গারের প্রতি এখনও কৃতজ্ঞ শর্ট
১৭ আগস্ট ২৫
এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালকে ৩২ রানে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। তৃতীয় ম্যাচে পার্থ স্কোর্চার্সের একাডেমীর কাছে হারে ৫ উইকেটের বড় ব্যবধানে। এরপর নর্দান টেরিটরি স্ট্রাইকের বিপক্ষে আবার জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ 'এ' দল। ২২ রানের জয়ের পর আবারও হারের মুখ দেখে বাংলাদেশ 'এ'।
তারা মেলবোর্ন স্টার্স একাডেমীর বিপক্ষে হারে ৩ উইকেটে। এই হারের ফলেই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় সোহানের দল। ফলে শেষ ম্যাচটি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতা। যদিও এই ম্যাচে জয় পেলে কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাস নিয়ে দেশে ফিরতে পারতেন বাংলাদেশ 'এ' দলের ক্রিকেটাররা। তবে সেটা হয়নি।

বাংলাদেশ 'এ' দলের দেয়া ১৭৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১২৩ রানের দারুণ জুটি গড়েন স্ট্রাইকার্সের দুই ওপেনার ম্যাকেঞ্জি হারভে ও জ্যাক উইন্টার। এই দুজনের জুটিতেই ১৩ ওভারের মধ্যে ১২০ পেরিয়ে যায় স্ট্রাইকার্স। হারভে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন উইন্টার। উইন্টারকে আউট করেছেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি। শর্ট মিড উইকেটে তার ক্যাচ নিয়েছেন সাইফ হাসান।
ডিপিএলের পারফরম্যান্স ভুলে যেতে চান জিসান
১৬ আগস্ট ২৫
এরপর জোড়া উইকেট নিয়েছেন সাইফ। হ্যারি নেইলসেনকে ফেরানোর ৩ বল পর তিনি আউট করেছেন টম ও'কোনেলকে। এরপর অবশ্য একপ্রান্ত আগলে রেখে স্ট্রাইকার্সকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন হারভে। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীকে চার মেরে ৫৩ বলে সেঞ্চুরিও তুলে নেন হারভে। আর তাতেই বড় জয় নিশ্চিত হয় অ্যাডিলেডের।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ব্যাট করতে নেমে ভালোই শুরু পায় বাংলাদেশ 'এ' দল। নাইম শেখ ও জিসান আলম মিলে তোলেন ৪৮ রান। এরপর সাইফ হাসানকে নিয়ে আরও ৩৯ রান যোগ করেন জিসান। এই জুটির পথে হাফ সেঞ্চুরিও তুলে নেন এই ওপেনার।
৩৯ বলে ৫০ রান করে আউট হয়েছেন জিসান। এর আগে সাইফ ১৫ রান করে ফিরলে এই জুটি ভাঙে। বাংলাদেশের তিনটি উইকেটের মধ্যে দুটি উইকেটই নিয়েছেন হান্নো জ্যাকবস। আর একটি উইকেট যায় জেরসিস ওয়াদিয়ার ঝুলিতে। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি নুরুল হাসান সোহান। তিনি মাত্র ৬ রান করেই ফেরেন জ্যাকবসের শিকার হয়ে।
এরপর আফিফ হোসেন ধ্রুব ও ইয়াসির আলী মিলে বাংলাদেশ 'এ' দলের ইনিংস টানেন। বিশেষ করে আফিফ শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলেছেন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন ইয়াসির। পঞ্চম উইকেটে এই দুজনের অবিচ্ছিন্ন ২৯ বলে ৭০ রানের জুটিতেই বাংলাদেশ 'এ' দল লড়াইয়ের পুঁজি নিশ্চিত করে।