৯৫ রানের পর রিজানের ৫ উইকেট, চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

ছবি: জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট

হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে জয়ের জন্য ২৭০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় প্রত্যাশিত শুরুই পায় সাউথ আফ্রিকার যুবারা। জুরিখ ভ্যান শেলভিক ও আদনান ল্যাগাদিয়েন মিলে ইনিংসের প্রথম ওভার থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করতে থাকেন। তাদের দুজনের ব্যাটে দ্রুতই পঞ্চাশ পেরিয়ে যায় প্রোটিয়ারা। যদিও পাওয়ার প্লে শেষের আগেই তাদের ৫৯ রানের জুটি ভাঙেন আল ফাহাদ। ইনিংসের অষ্টম ওভারে ডানহাতি এই পেসারের বলে আজিজুল হাকিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৭ চার ও এক ছক্কায় ৩১ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলা আদনান।
আব্দুল্লাহ-রাতুলের জুটিতে ফাইনালের আগে আফ্রিকাকে হারাল বাংলাদেশ
৬ আগস্ট ২৫
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আউট হয়েছেন আরেক ওপেনার শেলভিকও। ২২ বলে ১৯ রান করা ব্যাটারকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেরেন ফাহাদ। পরবর্তীতে মোহাম্মদ বুলবুলিয়া ও জেসন রোয়েলস মিলে জুটি গড়ে তোলেন। দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা আফ্রিকান অধিনায়ক বুলবুলিয়াকে বোল্ড করে জুট ভাঙেন রিজান। ৪৩ বলে ৩১ রান করে ফিরেছেন বুলবুলিয়া। পাঁচে নেমে সুবিধা করতে পারেননি আরমান মানাক। ২৫ বলে ৮ রান করা ব্যাটারও আউট হয়েছেন রিজানের বলেই।
দারুণ ছন্দে থাকলেও ৫৩ বলে ৩৫ রানের বেশি করতে পারেননি রোয়েলস। কয়েক ওভারের ব্যবধানে ড্যানিয়েল বোসম্যান ও পল জেমসও ফিরেছেন। পরবর্তীতে দ্রুত রান তুলে সাউথ আফ্রিকাকে আশা দেখাতে থাকেন বান্দিলে এমবাতা ও এনটান্ডো সোনি। তাদের দুজনের ৫৯ রানের জুটি ভেঙেছেন রিজান। ৩২ বলে ৩৪ রান করেন সোনি। তবে শেষের দিকে ১৮ বলে ৪৬ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি প্রোটিয়ারা। থেমেছে ২৩৬ রানে। বাংলাদেশের হয়ে রিজান পাঁচটি, ফাহাদ তিনটি এবং স্বাধীন ইসলাম নিয়েছেন দুইটি উইকেট।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন জাওয়াদ আবরার ও রিফাত। পাওয়ার প্লে শেষের আগে তাদের দুজনের জুটি ভাঙেন বুয়ান্দা। ডানহাতি পেসারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন ১৬ রান করা রিফাত। একটু পর আউট হয়েছেন জাওয়াদও। সবশেষ কয়েক ম্যাচে রানের দেখা না পাওয়া ডানহাতি ওপেনার শুরু থেকেই ধুঁকছিলেন। ৪২ বলে ২১ রান করা এই ব্যাটারকে ফিরতে হয় রান আউট হয়ে।
আজিজুল হাকিম তামিমও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ২৮ বলে ৭ রান করে বাংলাদেশের অধিনায়ক ফিরেছেন এমবাতার বলে বুলবুলিয়াকে ক্যাচ দিয়ে। ভালো শুরু পেলেও ৬৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে অবশ্য টাইগার যুবাদের টেনে তোলেন রিজান ও কালাম। দারুণ ব্যাটিংয়ে তারা দুজনেই হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন। এনটান্ডো সোনির স্লোয়ার বাউন্সারে ফাইন লেগ দিয়ে চার মেরে ৬১ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন রিজান।
আরেক ব্যাটার কালাম পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৫৪ বলে, বুয়ান্দার লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে চার মেরে। তাদের দুজনের ১১৭ রানের জুটি ভাঙেন এমবাতা। ডানহাতি পেসারের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে ছক্কা মারার চেষ্টায় লং অনে ক্যাচ দিয়েছেন ৬৫ রান করা কালাম। সেঞ্চুরির আগে ৯৫ রানে ফিরেছেন রিজান। শেষের দিকে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ৩৮ ও রাতুল ১৩ রান করেছেন। তাদের ব্যাটেই ২৬৯ রানের পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশের যুবারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর—
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল— ২৬৯/৫ (৫০ ওভার) (জাওয়াদ ২১, রিফাত ১৬, কালাম ৬৫, রিজান ৯৫, আব্দুল্লাহ ৩৮*; এমবাতা ২/৫০)
সাউথ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দল— ২৩৬/১০ (৪৮.৪ ওভার) (আদনান ৪০, রোয়েলস ৩৫, সোনি ৩৪, বুলবুলিয়া ৩১; রিজান ৫/৩৪, ফাহাদ ৩/৫০, স্বাধীন ২/৩৪)