টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বোলিং করাই লক্ষ্য হার্দিকের

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

আরো পড়ুন

মুম্বাইয়ের ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে হার্দিক বললেন, ‘আমার আরও ভালো করা উচিত ছিল’

৩ জুন ২৫

অনেকদিন ধরেই পেশির চোটে ভুগছেন হার্দিক পান্ডিয়া। ব্যাটিং চালিয়ে গেলেও পুরোদমে এখনো বোলিং শুরু করেননি এই অলরাউন্ডার। তবে এ বছরে অনুষ্ঠিত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বল করতে দেখা গেছে। যদিও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) তাকে বল করতে দেখা যায়নি। দলের প্রয়োজনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পুরোদমে বোলিং করাই লক্ষ্য হার্দিকের।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের ওয়ানডে সিরিজে মোটে ৫ ওভার বোলিং করেছিলেন হার্দিক। এরপর অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চার ম্যাচ টেস্ট সিরিজে খেলা হয়নি তাঁর। যদিও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিয়মিতই তাকে বোলিং করতে দেখা গেছে। এরপর ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডেতেও বল করা হয়নি তাঁর।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে ৯ ওভার হাত ঘুরিয়েছিলেন এই পেসার। এরপর আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ৭ ম্যাচের একটিতেও বোলিং করতে দেখা যায়নি এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারকে। ফলে ভারত দলে তাঁর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠে। শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে হার্দিক তাই জানালেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবগুলো ম্যাচে বল করাই লক্ষ্য তার।

টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে তিনি বলেন, 'আমি আইপিএলে বোলিং শুরু করেছি এবং আমার দৃষ্টি বিশ্বকাপের দিকেই রয়েছে আমি নিশ্চিত করতে চাই যে [টি-টোয়েন্টি] বিশ্বকাপের সব খেলায় আমি বল করতে পারব। আমি কেবল স্মার্ট হওয়ার চেষ্টা করছি এবং নিশ্চিত করছি যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বল করবো। বোলিংয়ের সময় আমি কতটা ফিট তা গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি আমার অস্ত্রোপ??ারের পরেও আমি আমার গতি ছাড়িনি। আমি আমার নিয়ন্ত্রণ বাদ দিতে পারিনি। আমার বোলিং আমার ফিটনেসের সাথে সম্পর্কিত। একজন ফাস্ট বোলিং অলরাউন্ডার হিসাবে আমার চোট লাগার প্রবণতা রয়েছে। এটি ঘটতে বাধ্য এবং আমি এটির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছি।'

ভারত দলে হার্দিকের বোলিংয়ে এক ধরণের বৈচিত্র আনেন। বিশেষ করে মাঝের ওভারগুলোতে তার ইকোনমিকাল বোলিং কিংবা হুট করে ১/২ টি উইকেট ম্যাচের মোড় ভারতের পক্ষে ঘুরিয়ে দেয়। তা বুঝতে পারছেন পান্ডিয়াও। তাই ভারতের হয়ে যে তিনি বোলিং করছেন তা নিশ্চিত করেছেন নিজেই।

এ প্রসঙ্গে হার্দিক বলেন, 'আমি বুঝতে পেরেছি ভারতের জন্য আমার বোলিং অনেক পার্থক্য এনেছে কারণ ভারসাম্য পরিবর্তিত হয়। আইপিএলে আমি এমন একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি পেয়েছি যেখানে আমার এত বেশি ভালবাসা আছে যে আমি সেখানে আমার ব্যাটিং বেছে নিতে পেরেছিলাম এবং নিশ্চিত যে ভারতের পক্ষে আমি আমার সেরাটা দিতে সক্ষম হয়েছি। আমাকে নিশ্চিত করতে হবে যে আমি বোলিং করতে সক্ষম এবং আমি যদি বল করি তবে তাতে দলে ভারসাম্য আনবে।'

তিনি আরো বলেন, 'আমি যখনই খেলি, আমি ৫০ ভাগ দিয়ে খেলতে চাই না। যখন আমি খেলব, আমি ১০০ ভাগ দিয়ে খেলব। যখন আমি শুনলাম যে আমরা শ্রীলঙ্কা যাচ্ছি, তখন আমি ৩-৪ সপ্তাহ বিশ্রাম নেওয়ার পরিকল্পনা করছিলাম এবং ঠিক করেছিলাম কিছুই করব না। আমি সাত থেকে আট মাস টানা খেলার মধ্যে ছিলাম এবং সেই মাসগুলির জন্য আমি নিজেকে দেড় বছর ধরে প্রস্তুত করছি।'