ভারতীয় আম্পায়ার অনিল চৌধুরী মনে করেন ভারতের বিপক্ষে এই লজ্জাজনক পরাজয়ের প্রসঙ্গ এড়াতেই হ্যান্ডশেক ইস্যুকে বড় করেছে পাকিস্তান। তারা এই বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে বলেও ধারণা এই সাবেক আম্পায়ারের। পাকিস্তানের এমন হট্টগোলকে অপ্রয়োজনীয় বলে অভিহিত করেছেন অনিল।
সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অনিল বলেন, 'আমি মনে করি ম্যাচ হেরে যাওয়ার পর এটি আসলে পরিস্থিতি ঘোরানোরই অংশ ছিল। না হলে কোনো আইনের বইতে, আইসিসির কোনো খেলার শর্তাবলীতে এরকম কিছুই লেখা নেই। আমি বুঝতে পারছি আপনি যে হ্যান্ডশেক বিতর্কের কথা বলছেন, সেটি শুরু হয়েছিল প্রায় ১৫–২০ বছর আগে। আগে তো শুধু অধিনায়করাই হাত মেলাতেন। কাজেই আমি মনে করি পুরো বিষয়টাই অযথা সৃষ্টি করা হয়েছে, এর কোনো প্রয়োজন ছিল না।'
অনিল চৌধুরীর মতে প্রতিপক্ষ দলের ক্রিকেটারদের সাথে হ্যান্ডশেক করার নিয়ম আইসিসির কোনো আইনে উল্লেখ নেই। এটি শুধুই সৌজন্যতার জন্য, বাধ্যতামূলক কিছু নয়। তবুও পাকিস্তান অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে ম্যাচ পরবর্তী পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করে। এমনকি ম্যাচ রেফারি এন্ডি পাইক্রফটকে চলমান এশিয়া কাপে পাকিস্তানের ম্যাচগুলো থেকে অপসারণেরও দাবি তোলে পিসিবি।
যদিও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে পাকিস্তান দলের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পাইক্রফট। এর ফলে এক ঘণ্টা পর শুরু হয় ম্যাচটি। এই ঘটনায় পাইক্রফটের কোনো দোষ দেখছেন না অনিল। তিনি বলেন, 'এসব সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় ব্যাপার। তিনি (পাইক্রফট) আইসিসির এলিট প্যানেলের একজন অভিজ্ঞ ও প্রবীণ রেফারি। তিনি জিম্বাবুয়ের সুপরিচিত খেলোয়াড় ছিলেন এবং তার রেকর্ড অত্যন্ত ভালো।'