বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের শুরুর সময় থেকেই খেলছেন সালমা। বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে লম্বা সময় বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ৩৪ বছর বয়সি এই অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের নিয়মিত পারফর্মারও ছিলেন তিনি। তবে ব্যাটে-বলে পারফর্ম করতে না পারায় ২০২২ সালের ডিসেম্বরের থেকে ওয়ানডে দলে নেই।
হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। পরের বছর মিরপুরে ভারতের বিপক্ষে খেলেছেন শেষ টি-টোয়েন্টি। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের হয়ে ১৪১ ওয়ানডেতে ৪৯১ রান করার পাশাপাশি নিয়েছেন ৫২ উইকেট। ৯৫ টি-টোয়েন্টি খেলা সালমা নিয়েছেন ৮৪ উইকেট। ব্যাট হাতে ৬৩৪ রানও করেছেন তারকা এই অলরাউন্ডার।
নারী ডিপিএলের সবশেষ আসরে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে খেলেছেন তিনি। ৮ ম্যাচে ২.২৯ ইকনোমি রেটে ১৮ উইকেট নিয়েছিলেন সালমা। এমন পারফরম্যান্সের পরও জাতীয় দলে ফেরা হয়নি তাঁর। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে সালমাকে বিদায়ী ম্যাচের প্রস্তাব দেয়া হলেও এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়েননি তিনি। অবসরের আগেই নারী ক্রিকেট দলের নির্বাচক প্যানেলে যুক্ত করা হয়েছে তাকে।
এ প্রসঙ্গে মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, ‘আপনারা জানেন, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় নারী দলের জন্য শিপনের (সাজ্জাদ আহমেদ) সঙ্গে সালমা খাতুনকে নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমার মনে হয় এটা ঐতিহাসিক একটা সিদ্ধান্ত সভাপতি নিয়েছেন।’
আগামী ১ অক্টোবর থেকে নির্বাচক হিসেবে কাজ শুরু করবেন সালমা। নিজের দায়িত্ব বুঝে নেয়ার আগেই অবসর নিতে পারেন তিনি। তারকা অলরাউন্ডারের পাশাপাশি নারী দলের নির্বাচক প্যানেলে আছেন সাজ্জাদ আহমেদ শিপন। তিনি অনেক দিন ধরেই নারী দলের নির্বাচক হিসেবে কাজ করছেন।