বাংলাদেশকে ভুগিয়ে আইসিসির মাস সেরার দৌড়ে নিশাঙ্কা

ছবি: আইসিসির জুন মাসের সেরা ক্রিকেটারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় কাগিসো রাবাদা, এইডেন মার্করাম ও পাথুম নিশাঙ্কা, ফাইল ফটো

গলে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে তুলেছিল ৪৯৫ রান। ভালো ব্যাটিং কন্ডিশনে নিশাঙ্কা খেলেন ক্যারিয়ার সেরা ১৮৭ রানের ইনিংস, যেখানে ছিল ২৪টি চার এবং একটি ছক্কা। তার ইনিংসটি ছিল শ্রীলঙ্কার পক্ষে একমাত্র সেঞ্চুরি, যা দলকে বাংলাদেশের স্কোরের কাছাকাছি যেতে সহায়তা করে।
নিশাঙ্কা আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে কিভাবে ব্যাটিং করা উচিত: সিমন্স
২৬ জুন ২৫
শেষ পর্যন্ত তারা থামে ৪৮৫ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কা ৩২ ওভারের একটি কঠিন সময় পার করে ড্র নিশ্চিত করে। সেই পর্বেও নিশাঙ্কা ২৪ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন।
দ্বিতীয় টেস্টেও নিসাঙ্কা ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ২৪৭ রানে অলআউট হওয়ার পর, স্পিন সহায়ক পিচে নিশাঙ্কা খেলেন ১৫৮ রানের ইনিংস। ইনিংসটিতে ছিল ১৯টি বাউন্ডারি। তার ব্যাটিং-নৈপুণ্যে শ্রীলঙ্কা পায় ২১১ রানের লিড এবং শেষ পর্যন্ত সিরিজ নিশ্চিত করে।

অন্যদিকে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে দারুণ ভূমিকা রাখেন সাউথ আফ্রিকার ওপেনার আইডেন মার্করাম। প্রথমে বল হাতে এনে দেন ব্রেক থ্রু। মাত্র ছয় বলেই স্টিভ স্মিথকে আউট করেন তিনি।
সিরিজ জিততে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ
৪ ঘন্টা আগে
ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে তিনি শূন্য রানে আউট হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে রান তাড়ায় দলের মূল স্তম্ভ হয়ে দাঁড়ান। অস্ট্রেলিয়ার লিড ছিল ২৮১ রানের। মার্করাম দায়িত্ব নেন শুরু থেকে। রায়ান রিকেলটন দ্রুত ফিরে গেলেও উইয়ান মাল্ডার ও টেম্বা বাভুমার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন তিনি।
১৩৬ রানে মার্করাম আউট হলেও সাউথ আফ্রিকাকে ২৭ বছর পর প্রথম আইসিসি ট্রফি এনে দেন। বল হাতে সাউথ আফ্রিকার সাফল্যের মূল নায়ক ছিলেন কাগিসো রাবাদা। ম্যাচজুড়ে তার বোলিং স্পেল ছিল ধারাবাহিক।
প্রথম ইনিংসে ৩৩.৪ ওভার বল করে মাত্র ১১০ রান দিয়ে রাবাদা নেন পাঁচ উইকেট। প্রথম দিনেই তিনি উসমান খাওয়াজাকে ফিরিয়ে দেন এবং এরপর আরও চার উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারের ১৭তম পাঁচ উইকেট শিকার করেন।
দ্বিতীয় ইনিংসেও তিনি আঘাত হানেন শুরুতেই, ফিরিয়ে দেন খাওয়াজা ও ক্যামেরন গ্রিনকে। পরে অ্যালেক্স ক্যারি ও নাথান লায়নকেও ফিরিয়ে দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার লিড কমিয়ে আনেন।
সাউথ আফ্রিকা শেষ পর্যন্ত পাঁচ উইকেটে জয় পায় এবং রাবাদা ম্যাচ শেষ করেন ৯ উইকেট নিয়ে। তার মোট টেস্ট উইকেট সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৩৬, যা সাউথ আফ্রিকার ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ।