এশিয়া কাপে যাওয়ার আগে নিজেদের প্রস্তুতি নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট ছিলেন লিটনরা। সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার আগে ফাইনালে ওঠা কিংবা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশাও দেখিয়ে গেছেন ক্রিকেটাররা। স্বপ্ন দেখালেও গ্রুপ পর্বে মাঠের ক্রিকেট দিয়ে প্রত্যাশা মেটাতে পারেনি বাংলাদেশ। হংকং চায়নার বিপক্ষে জিতলেও পরের ম্যাচেই বিন্দুমাত্র লড়াই ছাড়াই শ্রীলঙ্কার কাছে হারে টাইগাররা।
শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিতলেও বাংলাদেশের সুপার ফোরে যাওয়া নিশ্চিত ছিল না একেবারেই। আফগানিস্তানের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা জিতে যাওয়ায় তাদের সঙ্গে সুপার ফোরে ওঠে বাংলাদেশও। যেখানে সুপার ফোরে যাওয়াই কঠিন হয়ে উঠেছিল সেখানে ফাইনাল খেলা তো স্বপ্নের মতো। তবে সেটা বাস্তবতা হয়ে ধরা দিতে পারে টাইগার সমর্থকদের জন্য। তিন ম্যাচের প্রথম লড়াইয়ে দাপুটে পারফরম্যান্সে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
২ পয়েন্ট পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই টেবিলে সবার উপরে লিটনরা। তাদের পরের দুই ম্যাচ ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। দুই ম্যাচের একটিতে জিততে পারলেই ফাইনালের টিকিট পাওয়ার সুযোগ তৈরি হতে পারে তাদের জন্য। শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান একটির বেশি ম্যাচ না জিতলে তখন দুই ম্যাচ জিতে ফাইনালে যেতে পারবে বাংলাদেশ। তবে এসব নিয়ে এখনই ভাবতে চায় না বাংলাদেশ।
৪৫ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হওয়া সাইফ জানালেন, এক ধাপ এগিয়েছেন তবে তাদের লক্ষ্য ভারত ম্যাচ। ডানহাতি এই ওপেনার বলেন, ‘অবশ্যই। এখানে আসার আগে থেকেই আমাদের বিশ্বাস ছিল যে আমরা ফাইনাল খেলব। আমরা এক ধাপ এগিয়েছি। এখনো দুটি ম্যাচ বাকি আছে। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য পরের ম্যাচ।’
এখন পর্যন্ত তিনবার এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। যদিও শিরোপা ছুঁয়ে দেখা হয়নি তাদের। আরেকটি ম্যাচ জিততে পারলে কয়েক বছরের ব্যবধানে আবারও ফাইনালে উঠতে পারেন লিটনরা। তাতে করে প্রথমবারের মতো শিরোপা জেতার স্বপ্ন দেখতে শুরু করতে পারবেন সমর্থকরা। সাইফ আবারও মনে করিয়ে দিলেন, তাদের সব মনোযোগ ভারত ম্যাচকে ঘিরে।
যদিও সবাইকে বড় স্বপ্নই দেখতে বলেছেন ডানহাতি এই ওপেনার। এ প্রসঙ্গে সাইফ বলেন, ‘অবশ্যই, বড় স্বপ্ন দেখা উচিত। তবে আমাদের ধাপে ধাপে এগোতে হবে। আমাদের পরের ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে এবং আমাদের পুরো মনোযোগ এখন সেই ম্যাচেই থাকবে। পরেরটা পরে দেখা যাবে।’