promotional_ad

ভারত চাইলেও ইংল্যান্ডকে পরের তিন ফাইনাল দিচ্ছে আইসিসি

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সাউথ আফ্রিকা
সাউদাম্পটন এবং ওভালের পর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সবশেষ ফাইনাল হয়েছে লর্ডসে। তিনটি ফাইনালের ভেন্যুই ছিল ইংল্যান্ডে। পরবর্তী তিন ফাইনাল কোথায় আয়োজন করা হবে সেটা নিয়েই আপাতত আলোচনা চলছে। ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সংস্করণের ফাইনাল আয়োজন করতে আগ্রহ দেখিয়েছে ভারত। তবে নানা দিক বিবেচনায় ভারতের আগ্রহে রাজী নয় আইসিসি। ব্রিটিশ গণমাধ্যম টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, পরের তিন ফাইনালও আয়োজনের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড।

promotional_ad

টেস্ট ক্রিকেটকে জনপ্রিয় করে তুলতেই আয়োজন করা হচ্ছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ২০২১ সালে প্রথম আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কেন উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ড। পরের চক্রে ২০২৩ সালে শিরোপা ঘরে তোলে অস্ট্রেলিয়া। সবশেষ চক্রের ফাইনালে অজিদের হারিয়ে ২৭ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছে সাউথ আফ্রিকা। সবগুলো ফাইনালই হয়েছে ইংল্যান্ডের ভিন্ন তিনটি ভেন্যুতে।


আরো পড়ুন

চোকার্স থেকে চ্যাম্পিয়ন সাউথ আফ্রিকা

১৭ ঘন্টা আগে
আইসিসি

১৭ জুন শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মধ্যকার দুই টেস্টের সিরিজ দিয়ে শুরু হবে ২০২৫–২৭ চক্র। ২০ জুন হেডিংলিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নামবে ভারতও। এটিও নতুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের অংশ। নতুন আসর শুরুর আগে পরের তিন চক্রের ফাইনালের ভেন্যু নির্বাচন করতে ব্যস্ত আইসিসি। আগামী মাসেই তিন ফাইনালের ভেন্যু কিংবা দেশের নাম ঘোষণা করতে পারে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।


অন্যদের মতো আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল আয়োজন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, ক্রিকেটীয় নানা দিক বিবেচনা করে ভারতকে স্বত্ব দিতে খুব বেশি আগ্রহী নয় আইসিসি। তাদের সবার পছন্দের তালিকায় সবার উপরে ইংল্যান্ড। ইতোমধ্যে নাকি ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডকে (ইসিবি) মৌখিকভাবে জানিয়েও দিয়েছে আইসিসি।


promotional_ad



আরো পড়ুন

৫ ভাষায় ইংল্যান্ড-ভারত সিরিজের ধারাভাষ্য, নেই হার্শা

১৬ ঘন্টা আগে
ফাইল ছবি

তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী মাসেই আসতে পারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। এমনটা হলে ২০২৭, ২০২৯ এবং ২০৩১ সালের ফাইনালও হবে ইংল্যান্ডেই। ভারতের আগ্রহী আইসিসি রাজী না হওয়ার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণও দেখিয়েছে তারা। নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে ইংল্যান্ডের গ্রহণযোগ্যতা থাকায় পিছিয়ে গেছে ভারত। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী, জুনে অনুষ্ঠিত হয় ফাইনাল।


ওইদিকে মার্চ-মে সময়ে ভারতে আয়োজিত হয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। যার ফলে আইপিএল শেষেই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল আয়োজন করতে হবে বিসিসিআইকে। এদিকে জুনে ইংল্যান্ডের আবহাওয়া ভালো থাকায় বিবেচনা করা তাদের। পাশাপাশি বেশিরভাগ টেস্ট খেলুড়ে দেশের সঙ্গে টাইম জোন মিলে যাওয়ায় ব্রডকাস্টারদের জন্য লাভজনক হয়ে উঠে।


সবচেয়ে বড় কারণ টিকিট বিক্রির বিষয়টি। ইংল্যান্ডে ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষ থাকায় কোন দুই দল ফাইনালে গেছে সেটার উপর টিকিট বিক্রি খুব বেশি প্রভাব ফেলে না। সাউথ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার ফাইনালের প্রথম তিনদিনে ৭৫ হাজার দর্শক এসেছে। বেশিরভাগের ভয় ভারতে ফাইনাল হলে আর শুভমান গিলরা যদি ফাইনালে না ওঠে তাহলে দর্শকখরা যেতে পারে।


এ ছাড়া পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কও একটা বড় সমস্যা। পাকিস্তান ফাইনালে উঠলে তখন ভেন্যু নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে আইসিসিকে। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক বৈরিতা বেড়ে যাওয়ায় ভারতের মাটিতে খেলতে যেতে রাজী নয় পাকিস্তান। একই চিত্র ভারতের ক্ষেত্রেও। যার ফলে সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের ম্যাচগুলো পাকিস্তানের পরিবর্তে লাহোরে খেলেছে ভারত।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball