দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় সাকিবকে দলে নেয়নি রংপুর
ছবি: ফাইল ছবি
বোলিং অ্যাকশনের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) দিয়ে প্রায় ৬ মাস পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরেন সাকিব। লাহোর কালান্দার্সের হয়ে খেলার পরই জিএসএলে তাকে নেয়ার আগ্রহ দেখায় রংপুর। জাতীয় দলের ব্যস্ততার কারণে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় মৌসুমে শেখ মেহেদী ও রিশাদ হোসেনের মতো ক্রিকেটারদের পাচ্ছে না বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এমন দুজন স্পিনার না থাকায় সাকিব বড় অস্ত্র হতে পারতেন তাদের।
সিপিএলে দল পেলেন সাকিব
১৮ জুন ২৫
যদিও শেষ পর্যন্ত সাকিবকে দলে নেয়ার সাহস দেখাতে পারেনি রংপুর। আওয়ামী লীগের সরকারের সময় সংসদ সদস্য ছিলেন সাকিব। সরকার পতনের পর থেকেই দেশের বাইরে আছেন তিনি। মিরপুরে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলার আগ্রহ দেখালেও তাকে দেশে আসতে দেয়নি ছাত্র-জনতা। যার ফলে গ্লোবাল সুপার লিগে তাকে নেয়ার আগ্রহ দেখানোর পরও স্কোয়াডে রাখেনি রংপুর। সাকিবকে দলে নিতে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া আসতে পারে সেটা নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন না তারা।
সাকিবকে দলে না নেয়া প্রসঙ্গে রংপুরের টিম ডিরেক্টর শানিয়ান তানিম বলেন, ‘সাকিব আল হাসান এখনও বাংলাদেশের অন্যতম মূল্যবান ক্রিকেটার, শুধু তাই নয়, বিশ্বের যেকোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও তার চাহিদা রয়েছে। আমরা তাকে দলে নিতে চাইনি—এমন নয়। কিন্তু দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।’
গ্লোবালে বাড়তি চ্যালেঞ্জ থাকলেও শিরোপায় নজর সোহানের
৭ ঘন্টা আগে
‘সাকিব আল হাসানকে একসাথে ব্যাটসম্যান, স্পিনার ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হিসেবে পাওয়া যায়। তার উপস্থিতি অনেক সমস্যার সমাধান করে দেয়। ক্রিকেটার হিসেবে তার দক্ষতা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু দেশের চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
বর্তমানে স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন সাকিব। তবে গত সরকারের অংশ হওয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। এমনকি চেক প্রতারণার মামলায় তারকা অলরাউন্ডারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত। এমন অবস্থায় সাকিবকে দলে নিতে উপরমহলের নির্দেশনা ছিল কিনা সেটাই জানতে চাওয়া হয়েছিল তাদের কাছে। শাহনিয়ান জানান, সাকিবকে দলে না নেয়া পুরোপুরি ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেন, ‘আমরা সাকিবকে দলে নেয়ার বিষয়ে কারও কাছ থেকে কোনো নির্দেশ পাইনি। সিদ্ধান্তটি সম্পূর্ণ ম্যানেজমেন্টের। আমরা জানি না সাকিবকে নেওয়ার পর কী ধরনের প্রতিক্রিয়া আসত। যেমন সোহানও বলেছে, আমরা সাকিব আল হাসানকে কেবল একজন ক্রিকেটার হিসেবেই দেখি, তার অন্যান্য পরিচয় আমাদের বিষয় না। আমার বিশ্বাস, সাকিব নিজেও বর্তমান পরিস্থিতি বুঝতে পারছেন।’
