আইপিএলের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত ১৮বার দুশ বা তার বেশি রান করে ডিফেন্ড করেছে মুম্বাই। আর কোনো দল তাদের এই পরিসংখ্যানের ধারে কাছেও নেই। কোয়ালিফায়ার দুইয়ে তাদের দুশর বেশি রান দেখে অনেকেই মনে করেছিলেন আরেকবার ফাইনালে খেলতে চলেছে মুম্বাই।
তাদের সেই স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছেন জস ইংলিস ও শ্রেয়াস আইয়াররা। বিশেষ করে আইয়ার একাই মুম্বাইয়ের বোলারদের ওপর ঝড় বইয়ে দিয়ে পাঞ্জাবকে ফাইনালে তুলেছেন। আইয়ার ৪১ বলে ৮৭ রান করে দলকে ১ ওভার বাকি থাকতেই পাঞ্জাবকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন।
আইপিএলের শুরুতে ব্যাটে-বলে পারফর্ম করলেও শেষদিকে পারফর্ম করতে পারেননি মুম্বাই অধিনায়ক হার্দিক। পাঞ্জাবের বিপক্ষে মাত্র ১৩ বলে ১৫ রান করে আউট হন তিনি। এরপর বল হাতে নিয়েছিলেন মাত্র একটি উইকেট। হার্দিকের অধিনায়কত্বেও কৌশলগত কিছু ভুলের মাশুল দিতে হয়েছে মুম্বাইকে।
হার্দিক নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়ে বলেছেন, ‘শ্রেয়াস আইয়ার যেভাবে ব্যাটিং করেছে, সেটা অনবদ্য। সে নিজের সুযোগগুলো কাজে লাগিয়েছে। ভালো ভালো শট খেলেছে। আমার মনে হয়েছিল ২০৩ রানটাও এই মাঠে খুব খারাপ ছিল না, কিন্তু এই ম্যাচ জিততে ভালো বোলিং করতে হতো। এটা বড় ম্যাচ ছিল। পঞ্জাব চাপের সময় নিজেদেরকে ঠান্ডা রেখেছিল, আর ম্যাচ জিতেছে। তাই আমি উইকেটের দোষ দেব না, যদি কোনও কিছু ভালো করতে হত তাহলে সেটা আমাদের বোলিং। আমি নিজের কাঁধেই দোষ নিতে পছন্দ করি, তাই আমি হয়ত আমার দলকে আরও ভালোভাবে গাইড করতে পারতাম।’
অনেকেই মনে করছেন দারুণ ছন্দে থাকা জসপ্রিত বুমরাহকে ভুল সময়ে বোলিং করিয়েছেন হার্দিক। শুরুর দিকে এই পেসার কয়েকটি উইকেট তুলে নিতে পারলে পাঞ্জাব আরও চাপে পড়ে যেত। হার্দিক অবশ্য এটাকেই হারার বড় কারণ মনে করেন না। বুমরাহ যেকোনো সময়ই বল হাতে প্রভাব রাখতে পারেন। কিন্তু সেটা পাঞ্জাবের বিপক্ষে হয়নি।
তাই আক্ষেপের সুরে মুম্বাইয়ের অধিনায়ক বলেছেন, ‘বুমরাহ আগে বোলিং করলে সেটা ভালো হতে পারত, আবার সেটা একটু বেশিই তাড়াতাড়ি হয়ে যেতে পারত। বুমরাহ যেরকম বোলার, তাতে তার ১৮টা বলও অনেকটা পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আজকে সেটা হয়নি।’