ধারণা করা হচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা যেভাবে সাজাচ্ছেন প্রধান কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার ও দলটির মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, তাদের সঙ্গে পরিকল্পনা মেলেনি জহিরের। যদিও অধিনায়ক ঋষভ পন্তের সঙ্গে জাহিরের সম্পর্ক বেশ ভালো, তবে দলের ভেতরে জটিল ও অগোছালো চিন্তাভাবনা তাকে প্রভাবিত করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০২৪ সালের আগস্টে জাহির লক্ষ্ণৌতে যোগ দেন। তিনি গৌতম গম্ভীরের শূন্যস্থান জায়গায় দলটির মেন্টর হিসেবে সুযোগ পান। ২০২৩ আইপিএলের আসর শেষে গম্ভীর লক্ষ্ণৌ ছেড়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সে মেন্টরের দায়িত্ব নেন এবং ২০২৪–এ ভারত জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেন।
এর আগে জাহির ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। লক্ষ্ণৌয়ের সঙ্গে তিনি দুই বছরের চুক্তি করেছিলেন এবং দায়িত্ব নিয়েছিলেন স্কাউটিং, পরিকল্পনা ও কৌশল তৈরির। প্রথম দুই আসরে (২০২২ ও ২০২৩) প্লে-অফে উঠলেও গত দুই মৌসুমে এলএসজি নকআউটে পৌঁছাতে পারেনি।
২০২৫–মৌসুমে তারা ১৪ ম্যাচে ৬ জয় নিয়ে সপ্তম স্থানে থেকে আসর শেষ করে। তারা প্রথম আট ম্যাচে ৫ জয় পেলেও শেষ ছয় ম্যাচে মাত্র একবার জিততে পারে। ঘরের মাঠ একানা স্টেডিয়ামে ৮ ম্যাচ খেলে জয় পায় কেবল দুটিতে। এর আগে মেগা নিলামে লক্ষৌ সংবাদের শিরোনাম হয় পন্তকে ২৭ কোটি রুপিতে (প্রায় ৩.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) দলে ভিড়িয়ে।
আর তাতেই আইপিএলের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার হয়ে যান প্যান্ট। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে দলে ভেড়ানোর পেছনে বড় ভূমিকা ছিল জহিরের। অবশ্য এখনও জহিরের বিদায় নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি লক্ষৌ। সেখানেই হয়তো জহিরের বিদায়ের আসল কারণ জানা যাবে।