‘গুজরাটের বোলাররা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ছন্দ হারিয়েছে’

ছবি: রশিদ খান পুরো মৌসুমেই নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি, ফাইল ফটো

মৌসুমের শুরুতে দুর্দান্ত ছন্দে ছিল গুজরাট। ১৪ ম্যাচে ৮টি জয়ের মাধ্যমে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা বেশ শক্ত অবস্থানে ছিল। শুভমান গিল এবং সাই সুদর্শনের ব্যাটে শুরুর দিকে দারুণ সাফল্য এসেছিল। বোলাররাও মাঝেমধ্যে ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন।
‘টি-টোয়েন্টিতে আমাকে আরো উন্নতি করতে হবে’, ৭৫৯ রানের পর সুদর্শন
৩১ মে ২৫
কিন্তু শেষ দুই ম্যাচে হারের ফলে এখন দলটিকে তাকিয়ে থাকতে হবে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ম্যাচের দিকে। সেই ম্যাচে বেঙ্গালুরু জিতলে তিনে নেমে এলিমিনেটর খেলতে হবে গুজরাটকে।
আর সেই ম্যাচে হারলেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হবে গুজরাটকে। শেষ তিন ম্যাচে একেবারেই ছন্দ হারিয়ে ফেলেছে গুজরাটের বোলিং ইউনিট। এই তিন ম্যাচে তারা মোট ৬৬৪ রান হজম করেছে।

ইএসপিএনক্রিকইনফো'র ‘টাইম আউট’ অনুষ্ঠানে ম্যাচ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে মুডি বলেন, 'এটা অবশ্যই চিন্তার বিষয় যে দলের বেশ কয়েকজন বোলার গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ছন্দ হারিয়েছে। ফাইনালের আগে আপনি চাইবেন আপনার বোলিং ইউনিট আত্মবিশ্বাসী থাকুক এবং প্রত্যেকে নিজের দায়িত্ব নিক। কিন্তু আমি যখন গুজরাটের বোলিং আক্রমণ দেখি, সেখানে এখন মাত্র একজন বোলার আছেন যিনি নিয়মিত ভালো করছেন, বাকি সবাই যেন নিজের ছন্দ খুঁজে ফিরছেন।'
মুডির বক্তব্য অনুযায়ী দলটির অভিজ্ঞ বোলারদের মধ্যে ধারাবাহিকতার অভাব রয়েছে। মোহাম্মদ সিরাজ এবারের আসরে কখনো ভালো, কখনো খারাপ পারফরম্যান্স করেছেন। রশিদ খান পুরো মৌসুমেই নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। একমাত্র সাই কিশোর ধারাবাহিকভাবে প্রতিটি ম্যাচে অন্তত একটি করে উইকেট পেয়েছেন। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা ২৩ উইকেট নিয়ে 'পার্পল ক্যাপ' দৌড়ে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকলেও বাকিদের কাছ থেকে সেভাবে সহায়তা পাচ্ছেন না।
'সাই কিশোরকে বাদ দিলে বাকিদের কেউই নিয়মিত ভালো বল করতে পারছেন না। এটা তার জন্য কিছুটা অন্যায় হয়ে যায়, কারণ সে নিজে ভালো করছে। কিন্তু বাকিরা যখন একসঙ্গে পারফর্ম করতে পারছে না, এ জন্য বোলিং পার্টনারশিপও তৈরি হচ্ছে না। এটা একটা দলের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।'
'