ক্লাসেনের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে বড় জয়ে আইপিএল শেষ করল হায়দরাবাদ

ছবি: ৩৭ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন হেনরিখ ক্লাসেন, ফাইল ফটো

মৌসুমের শুরু থেকেই ব্যাটিংয়ে সমস্যায় ছিল হায়দরাবাদ। পুরো আসরে মাত্র একবার ২০০ রানের বেশি স্কোর করতে পেরেছিল তারা। কিন্তু শেষের তিন ম্যাচে রীতিমতো বাজিমাত করল কামিন্সবাহিনী। দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল সানরাইজার্স।
১৬ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে হারল কোহলিরা
২৪ মে ২৫
অভিষেক শর্মা এবং ট্রাভিস হেড মিলে মাত্র ৬.৫ ওভারে গড়ে তোলেন ৯২ রানের জুটি। অভিষেক খেলেন ১৬ বলে ঝড়ো ৩২ রান। সুনীল নারিনকে ডিপ মিড উইকেটের ওপর দিয়ে হাঁকাতে গিয়ে রিঙ্কু সিংয়ের মুঠোয় ধরা পড়েন তিনি।
ওদিকে ২৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন হেড। শেষ পর্যন্ত হেড করেন ৪০ বলে ৭৬ রান, তার ইনিংসে ছিল ছয়টি চার এবং পাঁচটি ছক্কা ক্লাসেনের সঙ্গে ৮৩ রানের জুটি গড়েন তিনি। এই জুটিও ভাঙেন নারিন। তার বলে লং অফে আন্দ্রে রাসেলের মুঠোয় ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন হেড।
এ দিন মাত্র ১৭ বলে ঝাফ সেঞ্চুরি এবং ৩৭ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন ক্লাসেন। মাঝে ইশান কিশান করেন ২০ বলে ২৯ রান করে ফিরে যান। অনিকেত ভার্মা অপরাজিত থাকেন ছয় বলে ১২ রানে। শেষ পাঁচ ওভারে ৭৪ রান আসে ক্লাসেন-ইশান-ভার্মার ব্যাটে।

আইপিএলের নতুন নিয়মে সন্তুষ্ট নয় কলকাতা
২১ মে ২৫
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে কলকাতা। শেষপর্যন্ত ১৮.৪ ওভারে ১৬৮ রানে থামে দলটি। টপ অর্ডারের ভালো ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়েও অসাধারণ পারফর্ম করে হায়দরাবাদের বোলিং ইউনিট।
জয়দেব উনাদকাট ২৪ রানে, ইশান মালিঙ্গা ৩১ রানে এবং হার্শ দুবে ৩৪ রানে তিনটি করে উইকেট নেন। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কলকাতার হয়ে এ দিন ২৩ বলে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন মানিশ পান্ডে।
এ ছাড়া শেষদিকে হার্শিত রানা ২১ বলে ৩৪ এবং শুরুর দিকে নারিন ১৬ বলে ৩১ রান করেন। আরেক ওপেনার ডি কক ১৩ বলে ৯ এবং অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে ৮ বলে ১৫ রান করে ফিরে গেলে চাপে পড়ে দলটি।
মিডল অর্ডারে অঙ্গক্রিশ রঘুবংশি ১৮ বলে ১৪, রিঙ্কু সিং ছয় বলে ৯, এবং রাসেল এক বলে শূন্য রান করে ফেরায় পরাজয়ের ব্যবধান আর কমাতে পারেনি দলটি। ১১০ রানে সাত উইকেট হারানো দলটির হয়ে ইনিংস সর্বোচ্চ ৫২ রানের জুটি গড়েন মানিশ ও হার্শিত।