৬ ম্যাচ ধরেই পকেটে চিরকুট নিয়ে ঘুরছেন অভিষেক

ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ
৬ ম্যাচ ধরেই পকেটে চিরকুট নিয়ে ঘুরছেন অভিষেক
৬ ম্যাচ ধরেই পকেটে চিরকুট নিয়ে ঘুরছেন অভিষেক শর্মা, ফাইল ফটো
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
ব্যাক্তিগত ২৮ রানেই আউট হয়ে যাচ্ছিলেন! কিন্তু ভাগ্য সুপ্রসন্নই ছিলো অভিষেক শর্মার। বেঁচে যান নো বলের কারণে। 'জীবন' পেয়ে সেটিকে আর হাতছাড়া করেননি অভিষেক। ব্যাট হাতে অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করেন তিনি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদও জিতে তার সেই ইনিংসে। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে পকেট থেকে একটি চিরকুট বের করেন অভিষেক। যেখানে লিখা, 'এটা অরেঞ্জ আর্মির জন্য'। এই চিরকুট নাকি অভিষেক পকেটে নিয়ে ঘুরছেন গত ছয়টি ম্যাচ ধরেই।

১২ই এপ্রিল শনিবার পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ৪০ বলে সেঞ্চুরি আদায় করেন অভিষেক। ২৪৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে করেন ৫৫ বলে ১৪১ রান। যা যেকোন ভারতীয় ব্যাটারের জন্যই সর্বোচ্চ ব্যাক্তিগত সংগ্রহ। শুধু এই একটিই নয়, পাঞ্জাবের বিপক্ষে অভিষেক করেছেন আরো বেশ কিছু রেকর্ড।

গতকাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএলে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ১০ ছক্কার রেকর্ড গড়েন অভিষেক। কাল সব মিলিয়ে তিনি বাউন্ডারি মেরেছেন ২৪টি। আইপিএলে এক ইনিংসে এর চেয়ে বেশি বাউন্ডারি মেরেছেন শুধু ক্রিস গেইল। সমান ২৪ বাউন্ডারি আছে আরেকজন ভারতীয় ব্যাটার ইয়াশভি জায়সাওয়ালেরও।

পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে অভিষেক ফিফটি পেয়েছেন ১৯ বলে। আইপিএলে ২০ বলের কম খেলে অভিষেক ফিফটি করেছেন এখন অব্দি ৩ বার। এ ছাড়া ৪০ বলে অভিষেকের সেঞ্চুরি বলের হিসেবে আইপিএলের পঞ্চম দ্রুততম সেঞ্চুরি। তবে অভিষেকই প্রথম ব্যাটার, যার ৪০ বল বা এর নিচে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তিনটি সেঞ্চুরি আছে।

হায়দরাবাদের দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড এবং অভিষেক শর্মা করেন ১৭১ রানের জুটি। যা হায়দরাবাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি। আর এই জুটির কারণেই পাঞ্জাব কিংসের দেয়া ২৪৬ রানের টার্গেট অরেঞ্জ আর্মিরা উতরে যায় ৯ বল হাতে রেখে।

ম্যাচের পর অভিষেকের ওপেনিং পার্টনার ট্রাভিস হেড বলেন, 'সে (অভিষেক) এই চিরকুট ৬ ম্যাচ ধরেই পকেটে নিয়ে খেলছে। খুবই ভালো লাগছে যে সে আজ এটা বের করে দেখানোর সুযোগ পেয়েছে।'

এদিকে ম্যাচের পর অভিষেকও জানান জয়ের পেছনের মন্ত্র। তার বাবা মামা উপস্থিত থাকলেই নাকি ম্যাচ জিতে হায়দরাবাদ। টানা চার ম্যাচ হারের পর সবাই নাকি তার বাবা মায়ের জন্যই করছিলো অপেক্ষা।

'আমার বাবা-মা এই দলের জন্য খুবই ভাগ্যবান। শুধু আমি নই, এই কথা আমার পুরো দল বিশ্বাস করে। তাই আমরা সকলেই আমার বাবা-মায়ের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। টানা চারটা ম্যাচ আমরা হেরেছি। এই পরিস্থিতি থেকে আমরা সকলেই বেরনোর চেষ্টা করছিলাম। তাই এই ম্যাচের আগে আমরা সবাই আমার বাবা-মায়ের জন্য অপেক্ষা করছিলাম।'

আরো পড়ুন: অভিষেক শর্মা