৩ সেঞ্চুরির ম্যাচে প্রাইম ব্যাংকের জয়

ঘরোয়া
৩ সেঞ্চুরির ম্যাচে প্রাইম ব্যাংকের জয়
একই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন ইরফান শুক্কুর (বামে), ইমরুল কায়েস (মাঝে) ও সাব্বির হোসেন (ডানে), ক্রিকফ্রেঞ্জি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
সাব্বির হোসেনের সঙ্গে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন অধিনায়ক ইরফান শুক্কুরও। শেষের দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন শাহাদাত হোসেন দিপুও। তাদের ব্যাটেই তিনশ ছাড়ানো পুঁজি পায় প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। এমন লক্ষ্য তাড়ায় অগ্রণী ব্যাংকের ব্যাটারদের বড় ইনিংস খেলার বিকল্প ছিল না। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস সেঞ্চুরিও করলেন, সাথে সাদমান ইসলামের হাফ সেঞ্চুরি। বাকিদের কেউই সেভাবে সুবিধা করতে না পারায় ২৮৭ রানে থামতে হয়েছে অগ্রণীকে। ৩৪ রানের জয়ে ডিপিএলে নিজেদের পঞ্চম জয়ের দেখা পেয়েছে প্রাইম ব্যাংক।

বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে জয়ের জন্য ৩২২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি অগ্রণী ব্যাংকের। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই ফিরে গেছেন প্রীতম কুমার। হাসান মাহমুদের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন ২৩ রান করা ডানহাতি এই ব্যাটার। প্রীতম ফেরার পর দ্বিতীয় উইকেটে জুটি গড়ে তোলেন ইমরুল ও সাদমান। তাদের দুজনের ব্যাটেই এগিয়ে যেতে থাকে অগ্রণী। পাওয়ার প্লেতে এক উইকেটে ৫৬ রান তোলা ইমরুলরা একশ ‍ছুঁয়েছে ১৬.৫ ওভারে। 

সাবলীল ব্যটিংয়ে ৫৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ইমরুল। অধিনায়কের পঞ্চাশ ছোঁয়ার একটু পর হাফ সেঞ্চুরি করেছেন সাদমানও। বাঁহাতি ওপেনারকে পঞ্চাশ করতে ৬০ বল খেলতে হয়েছে। হাফ সেঞ্চুরির পর দ্রুত রান তুলতে থাকেন ইমরুল। দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে ফিরলেও প্রাইম ব্যাংকের সঙ্গে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।  ১০৩ বলে সেঞ্চুরি করেছেন ইমরুল। একটু পর আউট হয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া সাদমান। 

লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের বলে বোল্ড হয়েছেন ৮২ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলা বাঁহাতি এই ওপেনার। একটু পর ফিরেছেন ইমরুলও। ১১৫ বলে ১১৬ রানের ইনিংস খেলে রিশাদের বলে ফিরেছেন দিপুর হাতে ক্যাচ দিয়ে। ইনিংসটি খেলতে ১১টি চার ও চারটি ছক্কা মেরেছেন ইমরুল। তাদের দুজনের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতি উইকেট হারিয়ে ২৮৭ রানে অল আউট হয়েছে। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন রিশাদ ও আরাফাত সানি।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রাইম ব্যাংককে ভালো শুরু এনে দেন নাইম শেখ ও সাব্বির। উদ্বোধনী জুটিতে তারা দুজনে ৫৮ রান যোগ করেন। দারুণ ব্যাটিং করতে থাকলেও রান আউট হয়ে ফেরেন দারুণ ছন্দে থাকা নাইম। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা বাঁহাতি ওপেনার ফিরেছেন ২০ বলে ৩২ রান করে। জাকির হাসানও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। নাঈম হাসানের বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে করেছেন ২৬ রান। 

পরবর্তীতে জুটি গড়ে তোলেন সাব্বির ও ইরফান। ৫০ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা সাব্বির সেঞ্চুরি পেয়েছেন ১২০ বলে। তবে সেঞ্চুরির পর রান আউটে কাটা পড়তে হয় ১২১ বলে ১০২ রানের ইনিংস খেলে। অধিনায়ক ইরফান ৮৯ বলে সেঞ্চুরি করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১০৭ রানে। এ ছাড়া শেষের দিকে ঝড়ো ইনিংস খেলে ৩৩ বলে ৪৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন দিপু। অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে একটি উইকেট নিয়েছেন নাঈম।

আরো পড়ুন: ইমরুল কায়েস