ফজলে রাব্বি ও সোহানের হাফ সেঞ্চুরিতে ধানমন্ডির জয়

ঘরোয়া
ফজলে রাব্বি ও সোহানের হাফ সেঞ্চুরিতে ধানমন্ডির জয়
ধানমন্ডিকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন নুরুল হাসান সোহান, ক্রিকফ্রেঞ্জি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
মাহফিজুল ইসলাম রবিন, ইমতিয়াজ হোসেন ও মিজানুর রহমানের হাফ সেঞ্চুরির পরও ২৬২ রানের বেশি করতে পারেনি ব্রাদার্স ইউনিয়ন। আড়াইশ পার করা লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের জয় নিশ্চিত করেছেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি, ইয়াসির আলী রাব্বি এবং অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। তাদের তিনজনের ব্যাটে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৪ উইকেটে হারিয়ে জয় দিয়ে ডিপিএল শুরু করল ধানমন্ডি ক্লাব।

মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ২৬৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ধানমন্ডিকে দারুণ শুরু এনে দেন আশিকুর রহমান শিবলী ও হাবিবুর রহমান সোহান। একেবারে শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করতে থাকেন তারা দুজন। পাওয়ার প্লে শেষের আগে তাদের জুটি ভাঙেন আসিফ হাসান। বাঁহাতি স্পিনারের লেংথ ডেলিভারিতে ব্যাকফুটে গিয়ে ডিফেন্স করার চেষ্টায় লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন হাবিবুর। ডানহাতি ব্যাটার আউট হয়েছেন ৫ চার ও এক ছক্কায় ৩২ রান করে। 

আরেক ওপেনার আশিকুর ফিরেছেন একটু পরই। পেসার ইয়াসিন আরাফাত মিশুর অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন ২৩ রান করা আশিকুর। দুই ওপেনর ফেরার পর ইয়াসির ও ফজলে রাব্বি মিলে জুটি গড়ে তোলেন। তাদের দুজনের ব্যাটেই একশ পার করে ধানমন্ডি। দারুণ ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়ার খুব কাছেই ছিলেন ইয়াসির। তবে ডানহাতি ব্যাটারকে পঞ্চাশ ছুঁতে দেননি মিশু।

ডানহাতি পেসারের অফ স্টাম্পে পড়ে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি বুঝেই উঠতে পারেননি ইয়াসির। বোল্ড হয়ে ফিরতে হয়েছে ৪৭ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলে। ইয়াসির ফেরার পর হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ফজলে রাব্বি। যদিও পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। অলক কাপালির অফ স্টাম্পের বাইরের বলে লং অফের উপর দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে মাহফুজুলকে ক্যাচ দিয়েছেন। ৭৮ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলে ফিরেছেন রাব্বি। 

দ্রুত ফিরে গেছেন সানজামুল ইসলাম ও মইন খান। তবে ধানমন্ডিকে জয়ের পথে রেখেছিলেন সোহান। দারুণ ব্যাটিংয়ে ৫৩ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন ডানহাতি ধানমন্ডির অধিনায়ক। তাকে সঙ্গ দেয়া জিয়াউর রহমান ২৪ বলে ১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে একাই তিন উইকেট নিয়েছেন আরাফাত মিশু। এ ছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন আসিফ ও কাপালি।

 এর আগে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ব্রাদার্সকে দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার মাহফিজুল ও ইমতিয়াজ। বড় জুটি গড়লেও প্রত্যাশিতভাবে দ্রুত রান তুলতে পারেননি তাদের দুজনের কেউই। দলের রান একশ হওয়ার আগে ইমতিয়াজকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। ডানহাতি পেসারের বলে বোল্ড হয়েছেন ৫০ রান করা ইমতিয়াজ। সঙ্গী হারালেও তিনে নামা মিজানুরকে নিয়ে রান বাড়াতে থাকেন মাহফিজুল।

নিজেও তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। দারুণ ব্যাটিংয়ে ব্রাদার্সকে দুইশর পথে নিয়ে যেতে থাকেন তিনি। তবে ব্যক্তিগত ৮৪ রানে তিনি বিদায় নেন সানজামুলের দারুণ এক ডেলিভারিতে। খানিক পর দলীয় ১৭৯ রানে জিহাদের উইকেট হারায় ব্রাদার্স। ৭৬ বলে ৭৩ রান করে আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন মিজানুর। ব্যাটারদের দ্রুত আসা-যাওয়ায় খেই হারিয়ে বসে ব্রাদার্স। শেষদিকে কাপালির ১৭ বলে ১৯ রানের ওপর ভর করে ৫ উইকেটে ২৬২ রানের পুঁজি পায় ব্রাদার্স।

আরো পড়ুন: নুরুল হাসান সোহান