ভারতকে রাজি করিয়ে বুলবুল বললেন, ‘ক্রিকেটের স্বার্থে সবাই যোগ দিচ্ছে’

ছবি: বিসিসিআইয়ের কর্মকর্তারা এক সঙ্গে

এরপর তারা আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মতো বোর্ডকেও এসিসির সভায় যেতে বারণ করেছিল বিসিসিআই। এমন অবস্থায় এসিসির সভা নিয়েই শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। সব সঙ্কট উপেক্ষা করেই এসিসি সভা আয়োজনের প্রস্তুতি সেরেছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে সভায় যোগ দিতে বাংলাদেশে পৌঁছেছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ও এসিসির সভাপতি মহসিন নাকভি।
এশিয়া কাপের ভাগ্য নির্ধারণ কাল, রাতেই আসছে আফগানিস্তান
৫ ঘন্টা আগে
ভারতও ভার্চুয়ালি এই সভায় যোগ দিতে যাচ্ছে। বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সেই সঙ্গে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানও এই সভায় অংশ নিতে যাচ্ছে। এর মধ্যে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (এসিবি) সদস্যরা রাতেই ঢাকায় আসছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বুলবুল।
তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন, 'আমরা যেহেতু বাংলাদেশে এসিসির মিটিং আয়োজন করছি। আমরা সেই দায়িত্বটা নিয়ে সবাইকে রাজি করাতে পেরেছি ক্রিকেটের স্বার্থে সবাই যোগ দিচ্ছে। যারা আসতে পারছে না তারা অনলাইনে যোগ দেবে। পূর্ণ সদস্যদের মধ্যে আফগানিস্তান আজকে রাতে আসবে শ্রীলঙ্কা এবং ভারত বলেছে অনলাইনে যোগ দেবে।'

বাংলাদেশে আসার জন্য বিসিসিআইকে চাপ দিচ্ছে পাকিস্তান
১৯ জুলাই ২৫
তিনি আরও বলেছেন, 'ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সবসময় ভালো ছিল। এখনও ভালো আছে। আপনারা জানেন যে সিরিজটি আমরা স্থগিত করেছি। দুই বোর্ড বসে সবচেয়ে ফাঁকা যে সময়টা থাকে সেটাই আমরা নিশ্চিত করেছি। গতকাল এবং আজকে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগতভাবে কথা হয়েছে। যেহেতু আমাদের মধ্যে সম্পর্ক সবসময় ভালো ছিল। সেটাই আমরা বিদ্যমান রাখবো।'
বুধবার রাতে বাংলাদেশ দল ও সফরকারী পাকিস্তান দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে এক নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে উপস্থিত আছেন এসিসি সভাপতি মহসিন নাকভি ও বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। পিসিবি চেয়ারম্যানের এই সফরে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বাড়ানো নিয়েও ভিন্ন আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে এসিসির এই সভাটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এখানেই আসন্ন এশিয়া কাপ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা রয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এলে সেপ্টেম্বরের প্রথম দুই সপ্তাহে আরব আমিরাতে হতে পারে এশিয়া কাপ। টুর্নামেন্টের আয়োজন স্বত্ব ভারতের কাছেই রয়েছে। এই টুর্নামেন্ট না হলে এসিসির প্রতিটি সদস্য বোর্ড হারাবে প্রায় ৪০ কোটি রুপির রাজস্ব।