১০ বছর পর ফিরছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টি

ছবি: ফাইল ছবি

ভারতের আইপিএলের বাইরে আরও বেশ কয়েকটি দেশেই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট হচ্ছে। টেস্ট খেলুড়ে দেশের মধ্যে বাংলাদেশে বিপিএল, পাকিস্তানে পিএসএল, ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিপিএল, অস্ট্রেলিয়ায় বিগ ব্যাশ, শ্রীলঙ্কায় এলপিএল, ইংল্যান্ডে দ্য হান্ড্রেড এবং সাউথ আফ্রিকায় হচ্ছে এসএ২০ লিগের মতো টুর্নামেন্ট। এ ছাড়া সহযোগী দেশের মাঝে যুক্তরাষ্ট্র মেজর লিগ ক্রিকেট এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত আয়োজন করছে ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টি।
ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরে নাও থাকতে পারে আইপিএল-পিএসএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি
৬ জুলাই ২৫
ক্লাব বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নশিপ চালু করতে চলতি বছরের জুনে লর্ডসে বেশ কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের প্রধান নির্বাহীকে আমন্ত্রণ জানায় বিসিসিআই ও ইসিবি। যেখানে আইপিএলের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিগ ব্যাগ, দ্য হান্ড্রেড, সিপিএল, এমএলসি, আইএলটি-টোয়েন্টির প্রধান নির্বাহীরা। আমন্ত্রণ জানালেও সেখানে ছিলেন না পিএসএলের প্রতিনিধিরা। জানা গেছে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বিপিএল, এলপিএলের কাউকে।

লর্ডসে হওয়া সভায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টি ফেরাতে সম্মতি দিয়েছেন সবাই। ২০২৬ সালে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে আয়োজকদের। ক্রিকবাজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টুর্নামেন্টের মডেল তৈরি করতে কাজ করছেন তারা। সবশেষ বড় চ্যালেঞ্জটা হচ্ছে উইন্ডো খুঁজে বের করা। কারণ বছরের বেশিরভাগ সময়েই আয়োজিত হচ্ছে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি।
জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে বিপিএলের পাশাপাশি হচ্ছে এসএ২০ এবং আইএলটি-টোয়েন্টি। মার্চ থেকে শুরু হয় আড়াই মাসের আইপিএল। একই সময়ে হচ্ছে পিএসএলও। জুলাইয়ে এমএলসি এবং আগষ্ট, সেপ্টেম্বরে আয়োজন করা হচ্ছে সিপিএল, দ্য হান্ড্রেডের মতো টুর্নামেন্টগুলো। বছরের শেষের দিকে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে মাঠে গড়ায় অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ। যার ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টির উইন্ডো খুঁজে পাওয়াই চ্যালেঞ্জ।
ধারণা করা হচ্ছে, সেপ্টেম্বরের উইন্ডোর কথা বিবেচনা করতে পারে আয়োজকরা। আরেকটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে দল নির্বাচন। কয়েকটি দল নিয়ে টুর্নামেন্টটি হবে সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। এ ছাড়া আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিদের বেশ কয়েকটি দেশের লিগে দলের মালিকানা থাকায় একই মালিকানার দলগুলো একই সাথে খেলতে পারবে কিনা সেটা নিয়েও সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাদের।