বাংলাদেশের বোলিংয়ের সময় ১৯তম ওভারে মুস্তাফিজ মাত্র পাঁচ রান দেন। সেই ওভারে শ্রীলঙ্কা হারায় তিন উইকেট। ১২ বলে ২১ রান করা চারিথ আসালঙ্কা প্রথম বলেই রান আউট হন। এরপর চতুর্থ বলে কামিন্দু মেন্ডিসকে ফেরান মুস্তাফিজ।
তার বলে খোঁচা মেরে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দেন দুই বলে এক রান করা কামিন্দু। সেই ওভারের শেষ বলে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে ফেরান মুস্তাফিজ। দুই বলে দুই রান করা হাসারাঙ্গা লং অফে তানজিদ হাসানকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান।
আর শেষ ওভারে তাসকিন দেন ১০ রান। ফলে ৩৭ বলে ৬৪ রানে শানাকা অপরাজিত থাকলেও শ্রীলঙ্কা ১৬৮ রানের বেশি করতে পারেননি। সেই লক্ষ্য অনেকটা সাবলিলভাবে অতিক্রম করে বাংলাদেশ।
মুস্তাফিজের প্রশংসায় গুল বলেন, 'আবুধাবিতে একরকম উইকেটে খেলা হয়েছে। আজ আরেকরকম উইকেটে খেলা হচ্ছে। কিন্তু মুস্তাফিজ তার অভিজ্ঞতা থেকে সেরাটা দিয়ে গেছে সবখানেই। তার ব্যাক অব দ্যা লেংথ ব্যবহার করেছে। এঙ্গেল করে হার্ড লেংথে বল ফেলেছে। উইকেটও পেয়েছে। দুই দলের পেসারদের মধ্যে মুস্তাফিজ পুরোপুরি আলাদা ছিল। সে অসাধারণ বোলিং করেছে। তার হার্ড লেংথের এঙ্গেল করা ডেলিভারি ব্যাটাররা খেলতে পারেনি, তাকে মারতে পারেনি। আবার সে উইকেটও নিয়েছে।'
মুস্তাফিজের বোলিং অ্যাকশানের প্রশংসা করেছেন শোয়েব মালিকও, 'মুস্তাফিজের স্ট্রেংথ এটাই। সে সবসময় তার স্ট্রেংথ নিয়ে থাকে। সে মার খেলেও তার স্ট্রেংথ ঠিক রাখে। এর মানে হচ্ছে বছরের পর বছর সে তার স্কিল নিয়ে কাজ করেছে। তার অ্যাকশানও আনঅর্থোডক্স। এ কারণে সে অনেক কন্ডিশনে বোলিং করতে জানে। তার স্লোয়ার ভালো, হার্ড লেংথে ডেলিভারিও ভালো।'
লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ৪৫ বলে ৬১ রান করেছেন সাইফ হাসান। তাওহীদ হৃদয় করেন ৩৭ বলে ৫৮ রান। এই দুজনের প্রশংসা করেছেন মিসবাহ উল হক এবং মালিক।
মিসবাহ বলেন, 'বাংলাদেশের রানিং বিটুইন দ্যা উইকেট ভালো ছিল, বাউন্ডারি পেয়েছে ওরা। রানরেট কখনোই ওদের উপর চাপ প্রয়োগ করতে পারেনি। শেষ ওভারে ওরা কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে, প্যানিক করেছে। হ্যাটস অফ বাংলাদেশের ব্যাটারদের। এতো বড় মঞ্চে যখন তারা এভাবে খেলে, এতো কম্পোজ ক্রিকেট ওরা খেলে, এটা সম্ভবত দ্বিতীয়বার ওরা এতো বড় রান তাড়া করে জিতল। সত্যিই অসাধারণ।
হৃদয়ের প্রশংসা করে মালিক বলেন, 'যখন মাঠের একপাশ ছোটো থাকে তখন সবাই ওদিকেই মারতে থাকে। হৃদয় সেটা করেনি। সে ফাঁকা জায়গায় মেরেছে। এক্সট্রা কাভার বা ব্যাকফুট পয়েন্টের দিকে যেসব খালি জায়গা ছিল সেখানেই সে মেরেছে। সে স্মার্টনেস দেখিয়েছে। রান তাড়ার সময় উইকেটে শান্ত থাকা আরো বড় গুণ। আগে ব্যাট করে উইকেটে শান্ত থাকা সহজ।'