শ্রীলঙ্কান বোলারদের থেকেই উইকেট নেয়ার রসদ খুঁজছে বাংলাদেশ

ছবি: দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন বাংলাদেশের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, ক্রিকফ্রেঞ্জি

শ্রীলঙ্কার গল দুর্গে প্রথম দুই-তিন দিনে প্রচুর রান হবে! টেস্ট শুরুর আগে এমন আশার কথাই শুনিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম দুই দিনের মাঝে দেড় দিনে বাংলাদেশের অধিনায়কের কথা অনেকটাই সত্যি হয়েছে। টস জিতে শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরিতে প্রথম দিনে ২৯২ রান তুলেছিল সফরকারীরা। বাংলাদেশ উইকেট হারিয়েছিল মাত্র তিনটা। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনেও ব্যাটারদের দাপট ছিল।
উইনিং কম্বিনেশন ভাঙার ইঙ্গিত সালাহউদ্দিনের
১৫ জুলাই ২৫
দ্বিতীয় সেশনের বেশিরভাগটা বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর শেষ বিকেলে দাপট দেখান লঙ্কান বোলাররা। অল্প সময়ের ব্যবধানে মুশফিক, লিটন, জাকের আলী অনিক, তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসানের উইকেট হারায়। উইকেট খুব বেশি সুবিধা না থাকলেও লাইন লেংথ ধরে রেখে উইকেট আদায় করেছেন আসিথা, মিলান, থারিন্দুরা। তৃতীয় দিনের সকালে বোলিংয়ে নেমে উইকেট নেয়ার জন্য লঙ্কানদের বোলারদের থেকে অনুপ্রেরণা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সালাহউদ্দিন।

বাংলাদেশের সিনিয়র সহকারী কোচ বলেন, ‘ইতিবাচক ব্যাপারটা আসলে আমি ওদের বোলিং থেকেই নিতে চাই। কারণ বিরতির পরও বলটা তারা যেভাবে মেইনটেইন করেছে এবং সুইংটা যেভাবে করিয়েছে—এটা কিন্তু আমরা প্রথম পাঁচ সেশনে দেখি নাই। সুতরাং সেইটা যদি হয় আমরা হয়ত কাজে লাগাতে পারি তাদের কাছ থেকে, শিখতে পারি। আমার মনে হয় এই উইকেটে আমাদের স্পিনাররা অনেক ভালো বোলিং করার চেষ্টা করবে। কিন্তু পেস বোলাররও...যেহেতু আমাদের জোরে বোলার আছে এবং তারা যদি বলটা ঠিকভাবে মেইনটেইন করতে পারে। তাহলে আমার মনে হয় এখান থেকে আমরা ফায়দা নিতে পারব।’
এশিয়া কাপ-বিশ্বকাপের আগে এমন উইকেটে খেলা আদর্শ নয়: হেসন
৯ মিনিট আগে
নতুন বলে বাড়তি সুবিধা না পেলেও বল পুরাতন হওয়ার পর রিভার্স সুইং কাজে লাগিয়েছেন আসিথা ও মিলান। নতুন বলে সুইং না পাওয়ার আশঙ্কা জানিয়ে রাখলেন সালাহউদ্দিনও। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি শুরুতে নতুন বল থেকে সুইং নাও পাই বলটা মেইনটেইন করা খুব জরুরি। এখান থেকে যেটা বললেন রিভার্স সুইং করে যদি উইকেট নিতে পারি তাহলে খেলার মোমেন্টাম ঘুরিয়ে দেবে।’
জ্বরের কারণে গল টেস্টে খেলতে পারছেন না মেহেদী হাসান মিরাজ। যার ফলে একাদশে সাজাতে নানান কিছুই চিন্তা করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। মিরাজ না থাকায় একজন ব্যাটার বেশি নিয়ে খেলছে সফরকারীরা। সেটা করতে গিয়ে ৭ ব্যাটারের সঙ্গে দুই স্পিনার ও দুই পেসার নিয়ে মাঠে নেমেছেন শান্তরা। চার বোলার খেলানোয় বাংলাদেশের পরিকল্পনাটা কী সেটাই জানতে চাওয়া হয়েছিল সালাহউদ্দিনের কাছে।
বাংলাদেশের সিনিয়র সহকারী কোচ মনে করেন, টেস্ট জেতার জন্য যে ধরনের পরিকল্পনা দরকার তারা সেভাবেই এগোচ্ছেন। সালাহউদ্দিন বলেন, ‘দেখুন—পরিকল্পনার কথা তো আমি আপনাদের বলতে পারব না, মানে আমরা কী পরিকল্পনা করব বা করব না। আমাদের মনে হয় টেস্ট ম্যাচ জেতার জন্য যেরকম পরিকল্পনা করা দরকার আমরা সেভাবেই এগোচ্ছি।’