ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশের হার, অপেক্ষা বাড়ল সিরিজ জয়ের

ছবি: শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট

শেষের দিকে মোহাম্মদ ফরিদ কিংবা সামিউন বশিরও আশা দেখালেন। তবে থারুশা নাভোদিয়া, ভিরান চামুদিথা ও কুগাদাস মাথুলানের বোলিংয়ের বিপক্ষে পেরে উঠতে পারলেন না তাদের কেউই। ব্যাটিং ব্যর্থতায় কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ১৯৬ রান তাড়ায় বাংলাদেশের যুবারা থেমেছে ১৬৯ রানে। সফরকারীদের ২৭ রানে হারিয়ে সিরিজে ঘুরে দাঁড়িয়েছে শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দল। যদিও সিরিজে এখনো ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। ৮ মে কলম্বোতেই হবে ছয় ম্যাচের একদিনের সিরিজের শেষ ম্যাচ।
তিন ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি, দলের জয়ে অবদান রেখে খুশি আবরার
৩ মে ২৫
জয়ের জন্য ১৯৬ রান তাড়ায় ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই আবরারকে হারায় বাংলাদেশ। আগের তিন ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি করা ডানহাতি ওপেনার ফিরেছেন ৭ রানে। পরের ওভারে নিজের হাতে ক্যাচ বানিয়ে কালামকে বিদায় করেছেন চামুদিথা। তিনে নামা আজিজুল হাকিমও আউট হয়েছেন দ্রুতই। নাভোদিয়ার বলে চামুদিথার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। ১৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সফরকারীরা।

সেখান থেকে বাংলাদেশকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন রিজান ও আব্দুল্লাহ। তাদের দুজনের জমে ওঠা ৫৪ বলে ৩৪ রানের জুটি ভাঙেন চামুদিথা। ২৫ রান করা রিজানকে ফিরিয়েছেন তিনি। দলের রান একশ হওয়ার আগে আউট হয়েছেন দেবাশীষ। ২৪ রান করা ব্যাটারকে ফিরিয়ে মাথুলান। একশ পার হওয়ার পর ফিরেছেন ৫৯ বলে ৩২ রান করা আব্দুল্লাহ। পরবর্তীতে ৫১ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে স্বপ্ন দেখাতে থাকেন সামিউন ও ফরিদ।
বাংলাদেশের কাজ সহজ করে দিয়েছেন খালেদ-শরিফুলরা
৫ ঘন্টা আগে
তাদের দুজনের জুটি ভাঙলে বাংলাদেশের স্বপ্নও শেষ হয়ে যায়। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২৬ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলা সামিউনকে ফেরান কাভিজা গ্যামেগে। ফারহান শাহরিয়ার, ইকবাল হোসেন ইমন ও সাদ ইসলাম রাজিন ফিরলেও অপরপ্রান্তে অপরাজিত ছিলেন ৫২ বলে ৩০ রান করা ফরিদ। ১৬৯ রানে অল আউট হওয়ায় হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে। লঙ্কানদের হয়ে তিনটি করে উইকেট পেয়েছেন মাথুলান চামুদিথা। দুটি উইকেট পেয়েছেন নাভোদিয়া।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ১৯৬ রানে অল আউট হয় শ্রীলঙ্কার যুবারা। স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫১ রানের ইনিংস খেলেছেন উইকেটকিপার ব্যাটার অ্যাডাম হিলমি। এ ছাড়া ভিমাথ দিনসারা ৪২, সুহাস ফার্নান্দো ২৮ এবং কিথমা ভিদানাপাথিরানা ২৮ রান করেছেন। বাংলাদেশের হয়ে সামিউন তিনটি উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া দুটি করে উইকেট পেয়েছেন সাদ, রিজান ও ফারহান।