ঘরের মাঠে ২৫ বছর পর ইংল্যান্ডকে সিরিজ হারাল ক্যারিবিয়ানরা

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
তিন নতুন মুখ নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হচ্ছে আয়ারল্যান্ড
১৯ ঘন্টা আগে
প্রথম ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যদিও দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড। শেষ ম্যাচে আবারও জিতল ক্যারিবিয়ানরা। আর তাতে ঘরের মাঠে ২৫ বছর পর ইংল্যান্ডকে সিরিজ হারানোর স্বাদ পেল শাই হোপের দল। বৃষ্টি বাগড়া দেয়ার ম্যাচে ইংল্যান্ডকে চার উইকেটে হারিয়েছে ক্যারিবিয়ানরা।
বৃষ্টি বাঁধা দেয়ায় ইংল্যান্ডের ইনিংসের ওভার কমিয়ে আনা হয় ৪০-এ। নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটে ২০৬ রান তোলে ইংলিশরা। এ দিন শুরু থেকেই আসা যাওয়ার মিছিলে ছিল ইংলিশ ব্যাটাররা। ম্যাথু ফোর্ডের দুর্দান্ত বোলিংয়ে একদমই সুবিধা করতে পারছিল না ফিল সল্ট-উইল জ্যাকসরা।
মাত্র ৪৯ রান তুলতেই পাঁচ উইকেট হারায় দলটি। এর মধ্যে সল্ট, জ্যাকস, জ্যাক ক্রলিকে ফেরান ফোর্ড। দ্রুত ওয়াচ উইকেট হারিয়ে বেন ডাকেট এবং লিয়াম লিভিংস্টোনের দারুণ জুটিতে ম্যাচে ফেরে ইংল্যান্ড।

এই দুজন গড়েন ৮৮ রানের জুটি। ৭৩ বলে ৭১ রান করে রোমারিও শেফার্ডের বলে ফিরে যান ডাকেট। তার ইনিংসটি সাজানো ছিলও একটি ছক্কা ও ছয়টি চারে। সঙ্গে ৫৬ বলে ৪৫ রানের কার্যকরী একটি ইনিংস খেলে ফিরে যান লিভিংস্টোন।
ইংল্যান্ড দলে জায়গা হারালেন লিভিংস্টোন, ফিরলেন ডসন
১৩ মে ২৫
লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের নৈপুণ্যেই মূলত স্কোরবোর্ডে লড়াকু রান তোলে ইংল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ফোর্ড ছাড়াও তিনটি উইকেট নেন আলজারি জোসেফ। দুটি উইকেট নেন রোমারিও শেফার্ড।
ইংল্যান্ডের ইনিংসের শেষভাগে আবার বৃষ্টি নামলে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৪ ওভারে ১৮৮ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র দ্বিতীয় ওভারেই ব্রেন্ডন কিংয়ের উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তারপর ৭৬ রানের জুটি গড়েন অ্যালিক আথানাজে এবং কেসি কার্টি।
৫১ বলে আথানাজে ৪৫ রানে ফিরে গেলেও হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন কার্টি। যদিও ৫৮ বলে ৫০ রান তোলার পরই ফিরে যান তিনি। তারপর হোপ (১৫), শিমরন হেটমায়াররা (১২) দ্রুত ফিরে গেলে আবারও বিপদে পড়ে ক্যারিবিয়ানরা।
শেষদিকে তিনটি চার ও তিনটি ছক্কায় ২৮ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন রোমারিও শেফার্ড। দলকে জেতাতে ব্যাট হাতেও অবদান রাখেন ফোর্ড। ১৬ বলে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন এই পেসার।