বিশ্বকাপের পর ভারত-ইংল্যান্ডের পথে হাঁটবে বাংলাদেশ
ছবি: সংগ্রহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশকে ফাইনালে উঠতে হলে সাইফকেই জ্বলে উঠতে হবে: মালিক
২ ঘন্টা আগে
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল ও জো রুটের দলের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের সিরিজ খেলতে ভারত এখন ইংল্যান্ডে। একই সময় সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কা সফরে যাচ্ছে শিখর ধাওয়ানের নেতৃত্বাধীন ভারতের আরেকটি দল। অর্থাৎ একই সঙ্গে মাঠে নামবে ভারতের দুটি দল। এর আগেও একই সঙ্গে দুটি দল খেলানোর নজর গড়েছিল ভারত।
যদিও শুরুটা করেছিল ইংল্যান্ড। এদিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সেই সময় ইংল্যান্ড ও ভারতের মতো বাংলাদেশও দুটি দল তৈরি করতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
তিনি বলেন, ‘এখানে প্রথম কথা হচ্ছে রোটেশন চালু করার কথাটা এখন মনে হচ্ছে তা না। আপনি যদি দেখেন যে কয়টা দলের নাম বললাম আপনাকে আপনি যদি ওই পর্যায়ে যেতে চান তাহলে আলাদা দল লাগবে। টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড ও টেস্ট স্কোয়াড এক হতে পারে না। ওয়ানডে স্কোয়াড, ওদের কারও সমস্যা হলে ওদের বিশ্রাম দিতে পারে। আমাদের যেহেতু মেইন স্কোয়াডের মূল খেলোয়াড়গুলো একই থাকে তিন ফরম্যাটে। তাদের ওপর অবশ্যই চাপ পড়ে।‘

১৯৩০ সালে প্রথমবার একই দুটি দল খেলতে নামিয়েছিল ইংল্যান্ড। সেই বছরের জানুয়ারিতে ফ্রেডি কার্লথর্পের নেতৃত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে গিয়েছিল ইংলিশরা। আর ১৩ হাজার কিলোমিটার দূরে হ্যারল্ড গ্যালিসনের নেতৃত্বে ইংল্যান্ডের আরেক দল টেস্ট খেলতে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ডে।
দুটো দলই খেলেছিল স্বীকৃত টেস্ট ম্যাচ এবং সবচেয়ে বড় কথা একই সময়ে। বিস্ময়কর এই ঘটনা ঘটে ইতিহাসে একবারই। এরপর ১৯৯৮ সালে কমনওয়েলথ গেমসে প্রথমবারের মতো (এখনো পর্যন্ত শেষবার) ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। সে সময় কমনওয়েলথ গেমসে একটি আলাদা দল পাঠিয়েছিল বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)।
ঠিক একই সময় কানাডায় সাহারা কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছিলেন মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন–শচীন টেন্ডুলকাররা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর প্রায় একই সময়ে বাংলাদেশের দুটি সিরিজ রয়েছে বাংলাদেশের। ঘরের মাঠে পাকিস্তানের সঙ্গে খেলা থাকার পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডের সঙ্গেও খেলতে হবে বাংলাদেশকে।
দুটি সিরিজ প্রায় একই সময় হওয়ার কারণে ভিন্ন ভিন্ন দল বানাতে হচ্ছে বিসিবিকে। আলাদা দল বানানো ছাড়া কোন উপায়ও দেখছেন না বিসিবি সভাপতি। ভালো মানের ক্রিকেটারের স্বল্পতার কারণে দলের মূল ক্রিকেটাররা তিন ফরম্যাটেই খেলছে। যেখানে অন্যান্য দলগুলো ফরম্যাট অনুযায়ী দল তৈরি করেছে।
তাই পাপন মনে করেন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির স্কোয়াড কখনও আলাদা হতে পারে না। অর্থাৎ ভবিষ্যতে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির আলাদা আলাদা দল বানানোর ইঙ্গিতও দিয়েছেন বোর্ড সভাপতি।
তিনি আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তে এটা পরিবর্তন করা কঠিন তবে আমি মনে করি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে , যেটা অক্টোবরেই শুরু। তারপরে আমরা এইটা করতে পারবো । আমাদের করতে হবে অপশন নাই। যেমন ধরেন পাকিস্তান বিশ্বকাপের পরে এখানে খেলতে আসবে তখন আমাকে দল পাঠাতে হবে নিউজিল্যান্ডে। তখন কি করব? আমার তো দুইটা দল লাগবেই। কারণ কোয়ারেন্টাইন যদি মানতে হয় তাহলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন আছে। এই জিনিসটা বিশ্বকাপের পর থেকে শুরু হবে এবং আমরা চেষ্টা করব আমাদেরও আলাদা আলাদা দল থাকবে।’