বাউন্ডারি মারায় উথাপ্পার মাথায় ‘বিমার’ মারার হুমকি দিয়েছিলেন শোয়েব

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ধোনির ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে প্রশ্ন তুললেন উথাপ্পা-ইরফানরা
২৯ মার্চ ২৫
বাউন্সার দিয়ে ব্যাটসম্যানদের আঘাত করতে বরাবরই পটু ছিলেন শোয়েব আখতার। কখনও দলের প্রয়োজনে আবার কখনও ব্যাটসম্যানদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মাথা আঘাত করতে বাউন্সার দিতেন পাকিস্তানের সাবেক এই পেসার। কোনা ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে বেশি রান দিলে প্রতিশোধ নেয়ার চেষ্টা যেন ছিল তাঁর প্রাত্যহিক ঘটনা।
২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে এমন এক ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলেন রবিন উথাপ্পা। সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে শোয়েবের বলে বাউন্ডারি মারায় উথাপ্পার মাথায় বিমার মেরে আঘাত করার হুমকি দিয়েছিলেন ডানহাতি এই পেসার।

চতুর্থ ওয়ানডে শেষে পঞ্চম ম্যাচে খেলতে নামার আগে সবাই মিলে হোটেলে বসে খাচ্ছিলেন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন শোয়েবও। আর সেখানেই উথাপ্পার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। যেখানে উথাপ্পার ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করলেও চলে যাওয়ার আগে দিয়েছিলেন হুমকি।
পিসিবি চাইলে ১২ জনকে ‘সুপারস্টার’ বানানোর দায়িত্ব নেবেন শোয়েব
২২ সেপ্টেম্বর ২৫
এ প্রসঙ্গে উথাপ্পা বলেন, ‘মনে আছে সবাই মিলে খাওয়াদাওয়া করছিলাম। শোয়েব ভাইও সেখানে ছিল। আমার কাছে এগিয়ে এসে বলল, ‘প্রথম ম্যাচে ভাল খেলেছ’। তারপরেই কিছুটা এগিয়ে গিয়েও ঘুরে দাঁড়িয়ে বলল আর একটা জিনিস বলে রাখি। আগের ম্যাচে আমাকে এগিয়ে এসে মেরেছিলে। যদি আবার সে রকম করো, তাহলে আমিও জানি না কী হতে পারে। হয়তো তোমার মাথা লক্ষ্য করে বিমার উড়ে আসতে পারে।’
শোয়েবের এমন রাগের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ভারতের ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘শোয়েব যখন বল করছিল তখন আমি আর ইরফান পাঠান ক্রিজে ছিলাম। ২৫ বলে ১২ রান দরকার ছিল জেতার জন্য। মনে আছে শোয়েব আমাকে ইয়র্কার দিয়েছিল। শেষ মুহূ্র্তে বলের ধরন বুঝতে পেরে ওটা আটকে দেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরের বল নিচু হওয়া ফুলটস ছিল এবং সেটায় বাউন্ডারি মারি। তখন নিজেই ঠিক করেছিলাম, শোয়েবকে পেটানোর সুযোগ বারবার আসবে না। এখন সেটা কাজে লাগাতে হবে। পরের বলে আবার চার মেরে ম্যাচটা জিতে নেই।’