'রক্তাক্ত' ক্রিকেটের উপাখ্যানসমূহ

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়েরা। দক্ষিণ হেগলি পার্কে অবস্থিত আল নূর মসজিদে আর কিছু সময় আগে গেলেই হামলার মুখে পড়তেন তাঁরা।
এই ঘটনার পর শেষ টেস্ট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ এবং নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। তবে ক্রিকেটে এরূপ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। পূর্বে বেশ কয়েকবার এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাক্ষী হয়েছে ক্রিকেট বিশ্ব। তেমনই কিছু ঘটনাকে নিয়ে এই প্রতিবেদন।
১৯৬৯ ইংল্যান্ডের পাকিস্তান সফরঃ ১৯৬৯ সালে করাচীতে পাকিস্তান বনাম ইংল্যান্ডের মধ্যকার টেস্ট ম্যাচে দাঙ্গাবাজরা পিচ অবরুদ্ধ করে রেখেছিলো। পরিস্থিতি বেশি খারাপ হলে শেষ পর্যন্ত দ্রুত দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হয় সফরকারী ইংল্যান্ড।

১৯৮৪ ভারতের পাকিস্তান সফরঃ ১৯৮৪ সালে পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলো ভারত। কিন্তু সে বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে গুপ্তহত্যা করা হয়েছিলো। এরপর সিরিজটি বাতিল করা হয়।
১৯৮৭ নিউজিল্যান্ডের শ্রীলঙ্কা সফরঃ ১৯৮৭ সালে শ্রীলঙ্কার মাটিতে তিনটি টেস্ট খেলতে গিয়েছিলো নিউজিল্যান্ড। কিন্তু প্রথম ম্যাচের পর কলম্বোতে টিম হোটেলের সামনে একটি বোমা বিস্ফোরণ হওয়ার পর তৎক্ষণাৎ বাতিল করা হয় সিরিজটি।
২০০২ নিউজিল্যান্ডের পাকিস্তান সফরঃ ২০০২ সালে পাকিস্তান সফরে গিয়ে বোমাতঙ্কের মুখে পড়ে সফরকারী নিউজিল্যান্ড। সেবার তাঁদের টিম হোটেলের বাইরে একটি বোমা পাওয়া গিয়েছিলো। এরপর কিউই ক্রিকেট বোর্ড সফরটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।
২০০৬ শ্রীলঙ্কায় ত্রিদেশীয় সিরিজঃ ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কা, ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার অংশগ্রহণে আয়োজিত ত্রিদেশীয় সিরিজটি বাতিল করা হয়েছিলো কলম্বোতে বোমা বিস্ফোরনের পর। ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা দল যে হোটেলে ছিলো তার থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে বিস্ফোরিত হয়েছিলো এই বোমাটি।
২০০৮ ইংল্যান্ডের ভারত সফরঃ এ বছর মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার পর পরই বাতিল করা হয় ইংলিশদের ভারত সফর। ২৬/১১ এর সেই কুখ্যাত হামলার ঘটনার পর টি টুয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন্স লীগও বাতিল হয়।
২০০৯ শ্রীলঙ্কার পাকিস্তান সফরঃ ২০০৯ সালে পাকিস্তান সফরে গিয়ে দুর্বিষহ এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন লঙ্কান ক্রিকেটাররা। সেবার লাহোরে টেস্ট খেলতে যাওয়ার সময় লঙ্কানদের বাসের ওপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা। সেই ঘটনায় আহত হন ছয় জন লঙ্কান ক্রিকেটার। পরবর্তী সফর বাতিল করে দেশে ফিরে যায় শ্রীলঙ্কা। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত পাকিস্তানে নিষিদ্ধ রয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট।