তামিমের ধারে কাছেই ??েই কেউ

ছবি: তামিম ইকবাল, ছবি - ক্রিকফ্রেঞ্জি

পুরো সিরিজ জুড়ে ব্যাট হাতে ছিলেন একজন পরিপূর্ণ ব্যাটসম্যান। তিনটি ম্যাচের দুটিতে করেছেন শতক। আর একটি থেমে গিয়েছিল অর্ধশতকে। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে এমন নিপুণ ব্যাটিং প্রদর্শনী দেখিয়েছিলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবাল।
একই সাথে সম্পূর্ণ সিরিজে ২৮৭ রান সংগ্রহ করে সর্বোচ্চ রানের মালিকও তিনি। যার মাঝে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি এসেছিল সিরিজের প্রথম ম্যাচেই। সে ম্যাচে ১৬০ বলে ১৩০ রানের একটি ধৈর্যশীল ইনিংস খেলেছিলেন তামিম।
দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো শুরু করেও তাকে থেমে যেতে হয়েছে ৫৪ রানে। তবে তৃতীয় ম্যাচে আবারও ঘুরে দাঁড়ান দেশের এই তারকা ব্যাটসম্যান। সিরিজের দ্বিতীয় শতকের পাশাপাশি তুলে নিয়েছিলেন নিজের ১১তম শতকও।

শেষ ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে হয়েছেন ম্যাচ সেরা। সম্পূর্ণ সিরিজ ধরে ভালো ব্যাটিং উপহার দেয়ায় সিরিজ সেরার পুরষ্কারটিও উঠেছে তাঁর হাতে। টাইগার ওপেনার তামিমের পরেই সর্বোচ্চ রানের তালিকায় আছেন স্বাগতিক দলের বাঁহাতি ব্যাটসম্যান শিমরন হেটমায়ার।
তিন ম্যাচে ২০৭ রান এসেছে উইন্ডিজ তরুণ এই ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে। যেখানে তাঁর একটি শতক এবং একটি অর্ধশতকও রয়েছে। আর সর্বোচ্চ ১২৫ রানের ইনিংসটি খেলেছিলেন সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে।
টাইগারদের আরেক বাঁহাতি ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান রয়েছেন এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে। ১৯০ রান করেছেন পুরো সিরিজে। দুটি অর্ধশতক করলেও শতকের দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে এসেছেন এক ম্যাচে। নিজের হয়ে ওই ম্যাচেই সিরিজের সর্বোচ্চ ৯৭ রানের ইনিংসটি খেলেছিলেন সাকিব।
আর সমাপ্ত হওয়া ওয়ানডে সিরিজের সর্বোচ্চ রানের তালিকায় চতুর্থ জায়গাটি উইন্ডিজ বাঁহাতি ওপেনার ক্রিস গেইলের। বিশ্বখ্যাত এই ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে এসেছে ১৪২ রান। যেখানে রয়েছে একটি অর্ধ শতক।
আর পঞ্চম স্থানটিতে আছেন আরেক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যান রভম্যান পাওয়েল। তিন ম্যাচের এই ওয়ানডে সিরিজে ১১৮ রান এসেছে এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে। আর ১১০ রান করে যৌথভাবে ষষ্ঠ ও সপ্তম অবস্থানে আছেন টাইগার ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং মুশফিকুর রহিম।