টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই বিপাকে পড়ে নিউজিল্যান্ড। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট এনে দেন শরিফুল। বাঁহাতি পেসারের ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ফিলিপস। পরের ওভারে বয়েল ও আব্বাসকে ফিরিয়ে টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দিয়েছেন খালেদ। একটু পর অধিনায়ক কেলি ফিরেছেন শরিফুলের অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে।

আরো পড়ুন

কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশ 'এ' দলে সোহান-বিজয়-মুস্তাফিজরা

২৬ এপ্রিল ২৫

১৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন জো ক্লার্কসন ও রিস মারিয়ু। পেসার ইবাদত হোসেন চৌধুরি জুটি ভেঙেছেন ক্লার্কসনকে ফিরিয়ে। তানভীর ইসলামকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে স্টাম্পিং হয়েছেন ৫১ বলে ৪২ রান করা মারিয়ু। পরবর্তীতে সফরকারীদের একাই টেনেছেন ডিন ফক্সক্রফট। ৬৪ বলে খেলেছেন ৭২ রানের ইনিংস। ফক্সক্রফটের এমন ব্যাটিংয়ের পরও ১৪৭ রানে থামতে হয়েছে কিউইদের।

সফরকারী টপ অর্ডারকে গুঁড়িয়ে দেয়া খালেদ ২৭ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। আরেক পেসার সমান রান নিয়ে উইকেট নিয়েছেন দুটি। শেষের দিকে কিউইদের চেপে ধরে ৪৫ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন স্পিনার তানভীর। জাতীয় দলে ফেরার লড়াইয়ে থাকা পেসার ইবাদতও দুটি উইকেট পেয়েছেন। ম্যাচ শেষে সোহানও তাই বোলারদের প্রশংসা করেছেন। বাংলাদেশের অধিনায়ক জানান, খালেদ ও শরিফুল প্রথম বলেই সঠিক চ্যানেলে বোলিং করেছে এবং সেটারই ফলে পেয়েছেন তারা।

ম্যাচ শেষে সোহান বলেন, ‘দেখুন, আমি টসের সময় বলেছিলাম আমার কাছে মনে হয় সঠিক চ্যানেলে শুরু করাটা গুরুত্বপূর্ণ। যদি বলি খালেদ এবং শরিফুল প্রথম বল থেকেই একদম সঠিক চ্যানেলে বোলিং করেছে। আমরা যেভাবে পরিকল্পনা করেছিলাম ওইভাবে করার চেষ্টা করেছি। উইকেট অবশ্যই অনেক ভালো ছিল কিন্তু প্রথম ৫-৬ ওভারে আমার কাছে মনে হয় একটু ময়েশ্চার ছিল, ওইটা কাজে লাগাতে পেরেছি আমরা ভালো মতো।’

আরো পড়ুন

ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশের হার, অপেক্ষা বাড়ল সিরিজ জয়ের

২ ঘন্টা আগে

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমার মনে হয় দল হিসেবে খেলাটা...(গুরুত্বপূর্ণ)। সবসময় যেটা বলে এসেছি বোলিং ইউনিট অবশ্যই কাজটা আমাদের জন্য সহজ করে দিয়েছে। সবমিলিয়ে যদি বলেন ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং—আমরা যেহেতু ৭ উইকেটে জিতেছি, দল হিসেবে আমরা ভালো করতে পেরেছি। আজকে যে ভুলগুলো ছিল পরের ম্যাচে যেন আরও গুছিয়ে উঠতে পারি এবং অবশ্যই চেষ্টা করব যাতে দল হিসেবে খেলতে পারি।’

১৪৭ রান তাড়ায় ভালো শুরু পেয়েও ফিরেছেন নাইম শেখ ও পারভেজ হোসেন ইমন। ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের বন্যা বইয়ে দেয়া এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৮ রান। পরবর্তীতে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন অপরাজিত ৪২ ও অধিনায়ক সোহান ২০ রান করে বাংলাদেশকে জয় এনে দিয়েছেন। ৭ উইকেটের জয়ের দিনে সোহান জানালেন, তারা এখানে শিখতে নয় ম্যাচ জিততে এসেছেন। সেই সঙ্গে সবসময় জয়ের মানসিকতা নিয়ে মাঠে আসতে চান তারা।

ডানহাতি এই উইকেটকিপার ব্যাটার বলেন, ‘এভাবে হারানো তো কথা না। গতকালও আমি বলেছি আমরা এখানে শিখতে আসিনি, আমরা ম্যাচ জিততে এসেছি। এবং ম্যাচ জেতার যতটুুকু এফোর্ট দেয়া লাগবে—অবশ্যই খেলায় হার-জিত থাকবে। একই সঙ্গে ম্যাচ জেতার মানসিকতা নিয়ে আমরা সবসময় মাঠে আসতে চাই।’

পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ড আরও শক্তিশালী হয়ে ফেরার চেষ্টা করলেও মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান সোহান। তিনি বলেন, ‘ওদের ব্যাটিং লাইনআপ যদি দেখেন ওদের দলে কিন্তু দুই-তিনটা অলরাউন্ডার আছে। দল হিসেবে ওরা ভালো এবং আমার কাছে মনে হয় পরের ম্যাচে ওরা আরও শক্তিশালী হয়ে আসবে। অবশ্যই, যেটা বললাম আমরা যাতে আমাদের জায়গা থেকে আরও ভালো করতে পারি। আসলে যেভাবে শুরু করেছি—এরকম একটা শুরু পেলে মোমেন্টামটা ওই দলের দিকে থাকে। অবশ্যই, আমরা চাইবো যাতে ওই মোমেন্টামটা ধরে রাখতে পারি।’