রাসেলের ব্যাট দিয়ে ১১ ছক্কায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে দিলেন ডেভিড

ছবি: টিম ডেভিড, ফাইল ফটো

অস্ট্রেলিয়া দুই ম্যাচ হাতে রেখেই পাঁচ ম্যাচের সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে। এ দিন রান তাড়ায় শুরুটা সহজ ছিল না। পাওয়ার প্লে'তে তারা হারিয়ে ফেলে তিনটি উইকেট। তবে টিম ডেভিড ও মিচেল ওয়েনের ব্যাটে সব উল্টে যায়। দুজনের ১২৮ রানের জুটি আসে মাত্র ৪৬ বলে।
আপাতত ওয়ানডে খেলার আগ্রহ নেই ডেভিডের
৯ জুলাই ২৫
১৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়ে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন ডেভিড। আগের রেকর্ড ছিল ট্রাভিস হেড ও মার্কাস স্টইনিসের (১৭ বলে)। এরপর সেই ফিফটিকে রূপ দেন দেশের দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিতে। ইনিংস শেষ করেন ছয়টি চার ও ১১ ছক্কায় অপরাজিত ১০২ রানে।
ম্যাচের শুরুতে অবশ্য দাপট ছিল ক্যারিবিয়ানদেরই। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই তারা তোলে ১২৫ রান। ব্র্যান্ডন কিং করেন ৩৬ বলে ৬২, শেই হোপ ৫৭ বলে ১০২। তবে এরপর মিডল অর্ডার ব্যর্থতায় রানের গতি কমে যায়।
শিমরন হেটমায়ার ৯, শেরফান রাদারফোর্ড ১২, রভম্যান পাওয়েল ৯ এবং রোমারিও শেফার্ড অপরাজিত ৯ রান করেন। একপাশ দিয়ে হোপের ঝড়েই দুইশ পার হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তার ইনিংসে ছিল আটটি চার ও ছয়টি ছক্কার মার। শেষ পর্যন্ত দলটি পৌঁছায় চার উইকেটে ২১৪ রানে।

মনে হয়েছে এখনই থেমে যাওয়ার সময়: রাসেল
২৩ জুলাই ২৫
ওয়ার্নার পার্কের ছোট বাউন্ডারিতে এই লক্ষ্য ১৬.১ ওভারে তাড়া করে অস্ট্রেলিয়া। শুরুতে অবশ্য বেকায়দায় পড়ে দলটি। ওপেন করতে নামা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল করেন ৭ বলে ২০, জস ইংলিস ৬ বলে ১৫, মিচেল মার্শ ১৯ বলে ২২, আর ক্যামেরন গ্রিন ১৪ বলে করেন মাত্র ১১।
৮৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। উইকেটে ছিলেন টিম ডেভিড ও মিচেল ওয়েন। নবম ওভারে মোতির এক ওভারে চার ছক্কা ও এক চারে ২৮ রান নেন ডেভিড। সেখান থেকেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়।
পরের ওভারে আকিল হোসেনের বিপক্ষে টানা তিন বলে ছক্কা, চার, ছক্কা মেরে ১৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ডেভিড। পরে চেইজের এক ওভারে তিনটি ছক্কা ও একটি চারে আরও এগিয়ে যান তিনি। ৯০ রানে একবার জীবন পান, এরপর ঠাণ্ডা মাথায় শেষ করেন ইনিংস। ম্যাচের শেষ ওভারে চার মেরে নিজের শতক এবং দলের জয় নিশ্চিত করেন।
মিচেল ওয়েন ১৬ বলে অপরাজিত ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন। এই ম্যাচেই গড়া ১২৮ রানের জুটি টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার পঞ্চম উইকেটের রেকর্ড। আগের রেকর্ড ছিল ৯৭ রানের।
ম্যাচ শেষে ডেভিড বলেন, 'কখনও ভাবিনি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সেঞ্চুরি করব। খুব রোমাঞ্চিত লাগছে। উইকেট ও বাউন্ডারি দুটোই ব্যাটিংয়ের জন্য দারুণ ছিল। সিপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লেগেছে। পাওয়ার হিটিং নিয়ে অনেক কাজ করেছি, এখন শট নির্বাচন নিয়েও কাজ করছি।'
'ড্রে রাসের (আন্দ্রে রাসেল) কাছ থেকে পাওয়া ব্যাটটা আজ ব্যবহার করলাম। প্রায় এক বছর ধরে এটা সঙ্গে ছিল, আজ মনে হলো এটাই সঠিক সময়। ভাগ্য ভালো, কাজও দিয়েছে।'