promotional_ad

শামারের আগুনে বোলিংয়ে ১৮০ রানে থামল অস্ট্রেলিয়া

শামারের আগুনে বোলিংয়ে অজিরা থামল ১৮০ রানে, ফাইল ফটো
বার্বাডোজে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। উইকেট দেখে ব্যাটিং সহায়ক মনে হলেও তা ছিল পেসারদের সহায়। জেইডেন সিলস ও শামার জোসেফের দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে ১৮০ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।

promotional_ad

ওয়েস্ট ইন্ডিজও ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেনি প্রথম দিন। দিন শেষে ক্যারিবীয়রা তুলেছে চার উইকেটে ৫৭ রান। ফলে বার্বাডোজে টেস্টের প্রথম দিনেই পতন হয়েছে মোট ১৪ উইকেটের। এই ম্যাচ দিয়েই শুরু হয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র।


আরো পড়ুন

গ্রিনকে ৩ নম্বরের ‘স্থায়ী সমাধান’ ভাবছে অস্ট্রেলিয়া

২১ ঘন্টা আগে
অনুশীলনে ক্যামেরন গ্রিন

অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে একমাত্র ফিফটি আসে ট্রাভিস হেডের ব্যাট থেকে। জাস্টিন গ্রেভসের বলে খোঁচা মেরে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দেয়ার আগে তিনি করেন ৭৮ বলে ৫৯ রান। উসমান খাওয়াজার সঙ্গে তার চতুর্থ উইকেট জুটিতে আসে ৮৯ রান। দলের মোট রান ছিল ১৮০, যার বাইরে অন্য সব জুটির রান ছিল মাত্র ৯১।


ক্যারিবিয়ান পেসার সিলস নেন পাঁচ উইকেট, আর শামার জোসেফ পান চারটি। যদিও ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় শামার তার অভিষেক পাঁচ উইকেট হাতছাড়া করেন। ব্র্যান্ডন কিং একাই তিনটি ক্যাচ মিস করেন, যার সবগুলোতেই বোলার ছিলেন শামার।


উইকেট শিকারে এগিয়ে না থাকলেও সেরা স্পেল ছিল শামারের। প্রথম স্পেলে তার বোলিং ফিগার ছিল ছয় ওভারে ১২ রান খরচায় দুই উইকেট, সঙ্গে ছিল দুটি মেইডেন। আর দ্বিতীয় স্পেলে পাঁচ ওভারে ১২ রান খরচায় আরো দুই উইকেট নেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম পাঁচ উইকেটের চারটিই আসে তার হাত ধরে।


promotional_ad



অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে শুরুতেই আঘাত হানেন শামার। চতুর্থ ওভারে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে বোল্ড করেন স্যাম কনস্টাসকে (৩)। ক্যামেরন গ্রিন জীবন পেলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, ৩ রানেই তাকে ফেরান শামার। চতুর্থ স্টাম্পের বলে খোঁচা মেরে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দেন তিনি।


ইংলিস করেন ১২, আউট হন সিলসের বলে। দারুণ এক লেংথ ডেলিভারিতে খোঁচা মেরে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দেন তিনি। খাওয়াজা ১২৮ বল খেলে করেন ৪৭ রান। শামার জোসেফের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি।


হেডকে ফেরান অলরাউন্ডার গ্রেভস। অ্যালেক্স ক্যারিকে ফিরিয়ে দেন সিলস, প্রথম স্লিপে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন রস্টন চেইজ। অধিনায়ক কামিন্স ১৮ বলে ২৮ রানের একটি কার্যকর ইনিংস খেলেন।


শেষ দিকে দ্রুত উইকেট হারিয়ে ৬৯ রানের ব্যবধানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। ক্যারিবিয়ান দীপপুঞ্জে ব্যাটিং বেছে নেওয়া কোনো অস্ট্রেলিয়ান দলের এটিই সর্বনিম্ন স্কোর।


তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজও সুবিধা করতে পারেনি। স্টার্ক শুরুতেই দুই ওপেনার ব্র্যাথওয়েট ও ক্যাম্পবেলকে ফিরিয়ে দেন। ব্র্যাথওয়েট ড্রাইভ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন দ্বিতীয় স্লিপে বেউ ওয়েবস্টারের মুঠোয়। ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে ক্যাম্পবেল ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষককে।


কার্টিকে ফেরান কামিন্স। ২০ রান করা এই ব্যাটারও উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। ওয়ারিক্যানকে বোল্ড করে ফেরান জস হ্যাজেলউড। মাঠে ফিল্ডিংয়ে ব্যর্থ হলেও ব্যাট হাতে ২৩ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন অভিষিক্ত কিং। সঙ্গে চেইজ আছেন এক রানে।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball