দুবাই ক্যপিটালসের বিপক্ষে সেই ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে রংপুর রাইডার্স। পাঁচ উইকেটে ১৫৮ রান তোলে সোহানের দল। সাকিব এই ম্যাচে দারুণ বোলিং করেন। চার ওভারে ১৬ রান খরচায় নেন সৌম্য সরকারের উইকেট। পরে ব্যাট হাতে অবশ্য ব্যর্থ হন সাকিব। সাইফ হাসানের বলে সোহানের কাছে স্টাম্পিং হওয়ার আগপর্যন্ত করেন সাত বলে তিন রান। দুবাই অল আউট হয় ১৫০ রানে, রংপুর ম্যাচ জিতে আট রানে।
ক্রিকফ্রেঞ্জিকে সোহান বলেন, 'অবশ্যই ম্যাচের দিন দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে এবং অবশ্যই তাকে মাঠে দেখতে পেয়ে আমার কাছে মনে হয় সেও তার টাইমটা ক্রিকেট মাঠে অনেক এনজয় করতেছে।'
সাকিবদের হারিয়ে ফাইনালে উঠলেও শিরোপা জিততে পারেননি সোহান। ফাইনালে দলটির প্রতিপক্ষ ছিল গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। আগে ব্যাটিং করে গায়ানা তোলে চার উইকেটে ১৯৬ রান। জনসন চার্লস ৪৮ বলে ৬৭, রহমানউল্লাহ গুরবাজ ৩৮ বলে ৬৬ রান করেন। শেষদিকে ৯ বলে ২৮ রানের ক্যামিও খেলেন রোমারিও শেফার্ড।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯.৫ ওভারে ১৬৪ রানে অল আউট হয় রংপুর। ২৬ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন সাইফ। ইফতিখার আহমেদ করেন ২৯ বলে ৪৬ রান। এ ছাড়া মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন করেন ১৭ বলে ৩০ রান। সোহান আউট হন পাঁচ বলে পাঁচ রান করে। ৩২ রানে ফাইনাল জিতে গায়ানা। আসরের পরপর দুবার চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি রংপুর।
আফসোস নিয়ে সোহান আরো বলেন, 'আমার কাছে মনে হয় যে পরপর দুইবার ফাইনাল খেলা। আলহামদুলিল্লাহ আমরা যদি শেষটা ভালো করতে পারতাম, অবশ্যই বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য একটা অনেক বড় পাওয়া ছিলো। কারণ গ্লোবাল এরকম আসরে সবক'টা টিম বা আমার কাছে মনে হয় ওয়েল ব্যালেন্সড টিম ছিলো সবগুলো। তাদের সাথে লড়াই করে ফাইনালটা জিততে পারা অবশ্যই আমাদের বাংলাদেশ ক্রিকেটকে উন্নতির একটা পর্যায়ে নিয়ে যেতো। হয়তো আমাদের একটা খারাপ দিন গিয়েছে ফাইনালে।'
'গায়ানাও ভালো টিম ছিলো বা যে ক'টা টিম ওখানে ছিলো সবাই ভালো টিম ছিলো। এবং গত বছরও আমরা যখন গিয়েছিলাম হয়তো আমাদের ঐভাবে কেউ গোনেনি। এই বছর যখন গিয়েছি একটা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আলাদা একটা চ্যালেঞ্জ ছিলো। অবশ্যই টিম ম্যানেজমেন্ট এবং সব প্লেয়ার চ্যালেঞ্জটা নেওয়ার জন্য অনেক বেশি ক্ষুধার্ত ছিলো। যতটুকু আমরা খেলেছি, ভালো খারাপ মিশিয়ে টিম হিসেবে খেলেছি এবং অবশ্যই টিমের প্রতিটা প্লেয়ারেরই ঐ চ্যালেঞ্জটা নেওয়ার মতো সক্ষমতা ছিলো।'