এ দিন ৯ বল মোকাবেলায় ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন সাকিব। ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে সাকিবের এই ইনিংসটা ছিল কার্যকরী। বিশেষ করে সুনীল নারিনের এক ওভারে তিনটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকিয়ে মুহূর্তেই ম্যাচের গতি পাল্টে দেন।
যদিও নারিন পরে সিপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি উইকেটশিকারীর মাইলফলক স্পর্শ করেন। ফ্যালকনসের ইনিংসে শুরুটা এনে দেন আমির জাঙ্গু ও আন্দ্রেস গাউস। দ্বিতীয় উইকেটে ৮৫ বলে ১০৮ রানের বড় জুটি গড়েন দুজন। আমির করেন ৪৯ বলে ৫৫ রান, আর গাউস খেলেন ৪৫ বলে ৬১ রানের ইনিংস।
নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে দলটির সংগ্রহ দাঁড়ায় আট উইকেটে ১৬৬। ত্রিনবাগোর বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন সৌরভ নেত্রভালকার, যিনি তিন উইকেট তুলে নেন। উসমান তারিক পান দুটি উইকেট।
সাকিবের ক্যামিও ছাড়া শেষ দিকে আর কেউ উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারেননি। জাঙ্গু, গাউস আর সাকিব ছাড়া কেউ দুই অঙ্কে পৌঁছাতেও পারেননি। যার কারণে ব্যাটিং উইকেটেও মাঝারী মানের সংগ্রহে থামতে হয় দলটিকে।
১৬৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কোনো চাপেই পড়েনি ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। একমাত্র উইকেট হারালেও বাকিটা নির্বিঘ্নে শেষ করেন নিকোলাস পুরান ও অ্যালেক্স হেলস। দুজনের ব্যাটে ভর করে ১৫ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটের সহজ জয় তুলে নেয় তারা।
পুরান ৫৩ বলে ৯০ রানে অপরাজিত থাকেন, অন্যদিকে হেলস করেন ৪০ বলে ৫৪ রান। দ্বিতীয় উইকেটে ৮৬ বলে ১৪৩ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ বের করে আনেন তারা। ফ্যালকনসের বোলারদের কেউই এই জুটি ভাঙতে পারেননি।
সাকিব বল হাতেও চেষ্টা করেছেন। ষষ্ঠ বোলার হিসেবে এসে তিন ওভারে ২৪ রান দিলেও উইকেটের দেখা পাননি। শেষ পর্যন্ত এই হারে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ে অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনস।