মুস্তাফিজদের ওপর তাণ্ডব চালিয়ে গুজরাটকে প্লে-অফে নিলেন গিল-সুদর্শন

ছবি: শুভমান গিল ও সাই সুদর্শন, আইপিএল

তার অপরাজিত সেঞ্চুরির সুবাদেই দিল্লিকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে গুজরাট। সুদর্শন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৬১ বলে ১০৮ রান করে। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪টি ছক্কা ও ১২টি চারে। অন্যপ্রান্তে সেঞ্চুরি না পেলেও গিল খেলেছেন ৫৩ বলে ৯৩ রানের ইনিংস। আর তাতেই প্লে-অফে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে গুজরাট।
আইপিএলে ৩ ম্যাচ খেলার এনওসি পেলেন মুস্তাফিজ
১৬ মে ২৫
বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নেমে দারুণ শুরু করে গুজরাট। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন গিল ও সুদর্শন। তবে তাদের লাগাম টানতে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে নিজের প্রথম ওভার করতে আসেন মুস্তাফিজ। সেই ওভারে মাত্র ৬ রান খরচ করেন এই টাইগার পেসার। তার ওভারে কোনো বাউন্ডারি মারতে পারেননি গুজরাটের দুই ওপেনার।

ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে আসেন মুস্তাফিজ। তিনি সেই ওভারে খরচ করেন ৭ রান। চতুর্থ বলে তাকে ডিপ পয়েন্ট দিয়ে একটি চার মারেন সুদর্শন। এর বাইরে তিনটি সিঙ্গেল খরচ করেন মুস্তাফিজ। এই পেসার রান আটকে রাখলেও তার বাকি সতীর্থরা দেদারসে রান বিলিয়েছেন। গিল-সুদর্শনকে কোনো ঝুঁকিতেই ফেলতে পারেননি দিল্লির বোলাররা। সুদর্শন মাত্র ৩০ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। তাতে ভর করে ১০.৪ ওভারেই দলীয় একশ পূরণ করে গুজরাট।
আইপিএল খেলতে ভারতে ফিরছেন না স্টার্ক, বিপাকে দিল্লি
১৬ মে ২৫
খানিক বাদে গিল হাফ সেঞ্চুরিতে পৌঁছান ৩৩ বলে। ইনিংসের ১৬তম ওভারে নিজের তৃতীয় ওভার করতে আসেন মুস্তাফিজ। সেই ওভারে তিনি খরচ করেন ১১ রান। প্রথম দুই বলেই তাকে দুটি চার মারেন সুদর্শন। প্রথমটি ফাইন লেগ দিয়ে। আর পরেরটি থার্ড ম্যান অঞ্চল দিয়ে। এরপর আর বোলিংইয়েরই সুযোগ পাননি মুস্তাফিজ। ৩ ওভারে তার খরচ মাত্র ২৪ রান। দিল্লির বোলারদের মধ্যে মুস্তাফিজই সবচেয়ে কম রান খরচা করেছেন। তারপরও বাকিদের ওপর ঝড় তুলে গিল ও সুদর্শন ১ ওভার হাতে রেখেই গুজরাটের জয় নিশ্চিত করেন।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৬ রানেই দিল্লি হারায় ফাফ ডু প্লেসির উইকেট। এই প্রোটিয়া ব্যাটার আরশাদ খানের বলে মিড অনে মোহাম্মদ সিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। দ্বিতীয় উইকেটে অভিষেক পোড়েলকে নিয়ে ৯০ রানের জুটি গড়েন রাহুল। আর তাতেই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় দিল্লি। পোড়েল ১৯ বলে ৩০ রান করে ফেরেন শাই কিশোরের বলে উইকেটের পেছনে জস বাটলারকে ক্যাচ দিয়ে। এরপর অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে আরেকটি জুটি গড়ার চেষ্টা করেন রাহুল।
তৃতীয় উইকেটে তাকে নিয়ে রাহুল যোগ করেন ৪৫ রান। দিল্লির অধিনায়ক অবশ্য বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি। তিনি ১৬ বলে ২৫ করেই আউট হন প্রসিধ কৃষ্ণার শিকার হয়ে। এরপর চতুর্থ উইকেটে ট্রিস্টিয়ান স্টাবসকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ৪৮ রানের জুটি গড়ে ইনিংস শেষ করে আসেন রাহুল। স্টাবস অপরাজিত থাকেন ১০ বলে ২১ রান করে। রাহুল এদিন মাত্র ৬০ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন। এদিন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিজের ৮ হাজার রানের মাইলফলকেও পৌঁছেছেন রাহুল।