সাইফ ম্যাচ জেতাতে পারে সেই বিশ্বাস থেকেই দলে নিয়েছি: লিটন

বাংলাদেশ
সাইফ ম্যাচ জেতাতে পারে সেই বিশ্বাস থেকেই দলে নিয়েছি: লিটন
হাফ সেঞ্চুরির পর সাইফ হাসান, ক্রিকফ্রেঞ্জি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
এশিয়া কাপের সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচ জয় দিয়ে রাঙিয়ে নিলো বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কাকে চার উইকেটে হারিয়েছে লিটন দাসের দল। মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদের দারুণ বোলিংয়ের পর সাইফ হাসান এবং তাওহীদ হৃদয়ের হাফ সেঞ্চুরিতে জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা।

এশিয়া কাপ শুরুর আগে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান এবং নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টানা তিনটি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। এই তিনটি সিরিজের বেশিরভাগ ম্যাচই পরে ব্যাটিং করে জিতেছে বাংলাদেশ দল।

সেই আত্মবিশ্বাস শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই ম্যাচেও কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৬৮ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। সাইফের ৪৫ বলে ৬১ এবং হৃদয়ের ৩৭ বলে ৫৮ রানের ইনিংসে এক বল হাতে রেখেই জিতে যায় বাংলাদেশ।

ম্যাচ শেষে লিটন বলেন 'এশিয়া কাপের আগে আমরা কয়েকটা সিরিজ খেলেছি যেখানে আমরা সহজেই লক্ষ্য তাড়া করেছি। তাই আমরা জানতাম আমাদের সেই সামর্থ্য আছে। ব্যাট করার জন্য উইকেটটাও বেশ ভালো ছিল।'

বাংলাদেশের বোলিংয়ের সময় ১৯তম ওভারে মুস্তাফিজ মাত্র পাঁচ রান দেন। সেই ওভারে শ্রীলঙ্কা হারায় তিন উইকেট। ১২ বলে ২১ রান করা চারিথ আসালঙ্কা প্রথম বলেই রান আউট হন। এরপর চতুর্থ বলে কামিন্দু মেন্ডিসকে ফেরান মুস্তাফিজ।

তার বলে খোঁচা মেরে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দেন দুই বলে এক রান করা কামিন্দু। সেই ওভারের শেষ বলে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে ফেরান মুস্তাফিজ। দুই বলে দুই রান করা হাসারাঙ্গা লং অফে তানজিদ হাসানকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান।

আর শেষ ওভারে তাসকিন দেন ১০ রান। একটি ছক্কা এবং একটি চার হজম করেন তিনি। ৩৭ বলে ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন শানাকা। শেষ ওভারে আরো বেশি রান হতে পারত, এমনটা আশঙ্কা করেছিলেন লিটনও। কিন্তু তেমনটা না হওয়ায় তাসকিনকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন তিনি।

লিটন আরো বলেন, 'আমার মনে হয় মুস্তাফিজের ১৯তম ওভার আর তাসকিনের ২০তম ওভার ম্যাচটা বদলে দিয়েছে। তার আগে মনে হচ্ছিল স্কোরটা ১৯০ হবে।'

পরের ম্যাচে বাংলাদেশের লক্ষ্য নিয়ে লিটন বলেন, '(পরের ম্যাচ নিয়ে) যখনই আপনি এমন লক্ষ্য তাড়া করে জিতবেন, তখন দলের প্রতি আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে। তবে আবারও শক্ত হয়ে ফিরে আসতে হবে। এটা হবে নতুন দিনে নতুন দলের বিপক্ষে আরেকটা ম্যাচ। সেটা আমাদের নতুন করে শুরু করতে হবে।'

এদিকে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকে আগ্রাসী ভঙ্গিমায় ছিলেন সাইফ হাসান। তানজিদ ফিরলেও রানের চাকা সচল রাখেন তিনি। দারুণ ইনিংসে ম্যাচসেরার পুরস্কারও জিতেন তিনি। তাকেও প্রশংসায় ভাসান লিটন।

তিনি বলেন, 'আমি জানি সাইফ আমাদের ম্যাচ জেতাতে পারে। আমি ওর ব্যাটিংয়ের ধরণ জানি। আমরা ওকে দলে নিয়েছি কারণ আমরা বিশ্বাস করি, ও আরব আমিরাতে আমাদের ম্যাচ জেতাতে পারবে।'

নিজের অনবদ্য ইনিংস নিয়ে সাইফ বলেন, 'উইকেটটা খুব ভালো ছিল আর আমি শটগুলো টাইমিং করার চেষ্টা করেছি। লিটন দা আমাকে অনেক সাহায্য করছিল, তার সঙ্গে ব্যাট করা সহজ ছিল। তিনি অনেক সাহস যুগিয়েছেন, বলছিল পরের বলটা কেমন হতে পারে। অবদান রাখতে পেরে আমি খুব খুশি। প্রস্তুতিটাও ভালো ছিল, আমরা তাদের বোলারদের বিরুদ্ধে ভালো পরিকল্পনা করেছিলাম আর সেটাই কাজে দিয়েছে।'

আরো পড়ুন: লিটন দাস