সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবালরাও টি-টোয়েন্টি ছেড়েছেন লম্বা সময় হয়েছে। গত বছরে ২০ ওভারের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকাদের ছাড়া প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ খেলতে গেছে বাংলাদেশ।
লিটনের নেতৃত্বে এবারই প্রথম এশিয়া কাপে মাঠে নামবে টাইগাররা। ‘নতুন’ বাংলাদেশকে দেখতে খানিকটা মুখিয়েই আছেন হার্শা। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশকে দেখতে মুখিয়ে আছি। সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম কিংবা আরও যারা ছিল তাদের ছাড়া সামনে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের জন্য বড় ব্যাপার। লিটন দাসের অধীনে তারা কেমন খেলে সেটা দেখার বিষয় হবে।’
সাম্প্রতিক সময়গুলোতে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে আছেন তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমনরা। বল হাতে ছন্দে আছেন রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিবরা। ভালো করতে পারলে তাদের জন্য ব্রেক আউট টুর্নামেন্ট হতে পারে এশিয়া কাপ। এ ছাড়া সামর্থ্য থাকলেও এখন পর্যন্ত বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়। মিডল অর্ডারে বাংলাদেশের তরুপের তাস হতে পারেন তিনি। হার্শাও মনে করেন, যারা হৃদয়কে খেলতে দেখেছে তারা তাঁর সামর্থ্য সম্পর্কে জানে।
হার্শা বলেন, ‘তানজিদ হাসান, তানজিম হাসানরা যদি ভালো করতে পারে তাহলে তাদের জন্য ব্রেকআউট টুর্নামেন্ট হবে। আমি রিশাদ হোসেনের কথা শুনেছি, ভালো পারফর্ম করতেও দেখেছি। এটা বড় একটা টুর্নামেন্ট। পারভেজ হোসেন ইমন আরেকজন যাকে নিয়ে ক্রিকেট পাড়ায় আলোচনা হচ্ছে। তাওহীদ হৃদয় ইন্টারেস্টিং ওয়ান—সে নেক্সট বিগ থিং হওয়ার কথা ছিল। যদিও এখন পর্যন্ত সেটা হয়ে উঠেনি। কিন্তু তাকে যারা দেখেছে তারা তাঁর সামর্থ্য সম্পর্কে জানে।’
এশিয়া কাপে ‘বি’ গ্রুপে রয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হংকং, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। ৯ সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে হতে যাওয়া টুর্নামেন্টে সবচেয়ে কঠিন গ্রুপে রয়েছে বাংলাদেশ। হার্শা নিজেও ভারত-পাকিস্তানের গ্রুপের চেয়ে এটিকে কঠিন মানছেন। সুপার ফোরে কারা খেলবে এমন প্রেডিকশনে বাংলাদেশের চেয়ে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে এগিয়ে রাখছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে হার্শা বলেন, ‘বাংলাদেশ কঠিন একটা গ্রুপে পড়েছে। কারণ শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান দারুণ দল নিয়ে এশিয়া কাপে যাচ্ছে। শ্রীলঙ্কা যে দলটা ঘোষণা করেছে সেটা নিয়ে আমি খুবই খুশি।...সুপার ফোরের জন্য আমি শ্রীলঙ্কাকে ব্যাক করছি। অন্য গ্রুপের তুলনায় এটাতে প্রতিযোগিতা একটু বেশি। আমার কাছে মনে হচ্ছে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান ফেভারিট হিসেবেই শুরু করছে। কিন্তু আমি যেটা বললাম এই টুর্নামেন্টটা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ।’