সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারানোর পর আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর ভারত এবং ২৫ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। টানা দুদিন এশিয়ার অন্যতম সেরা দুটি দলের বিপক্ষে জয় পাওয়া বাংলাদেশের জন্য কষ্টসাধ্য ব্যাপার হবে বলেই মনে করেন তিনি।
আকাশ বলেন, 'আজকে জেতার পরও বাংলাদেশের জন্য ফাইনালে যাওয়া কঠিন। পরবর্তীতে তাদের ভারতের বিপক্ষে খেলতে হবে এবং পরদিনই পাকিস্তানের সঙ্গে খেলা। এমন জয়ের পরও দেখে মনে হচ্ছে শ্রীলঙ্কার চেয়ে বাংলাদেশের ফাইনালে যাওয়া কঠিন। যদিও শ্রীলঙ্কা পাকিস্তানকে হারিয়ে দিতে পারে। '
১৬৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪৫ বলে ৬১ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন সাইফ হাসান। দুটি চার ও চারটি ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংস। বিশেষ করে নুয়ান থুসারার ওপর চওড়া হন তিনি। আগের ম্যাচে ১৮ রান খরচায় চার উইকেট নেয়া থুসারা এই ম্যাচে ৪২ রান খরচ করে একটি উইকেট নেন।
সাইফের ইনিংস নিয়ে আকাশ আরো বলেন, 'সাইফ দুর্দান্ত ছিল। কেউ যদি সাইফের এই ইংনিসটা দেখে এবং তাকে রেট করতে চায় তাহলে নিশ্চিতভাবেই বলবে ওহ! তার মাঝে সিরিয়াস ট্যালেন্ট আছে। সে (সাইফ) দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। উইকেটের দুই পাশেই খেলতে পারে। সাইফ যেভাবে ব্যাটিং করেছে— অফ ক্যামেরায় আমরা আলোচনা করছিলাম এশিয়া কাপের ফাইনাল রাউন্ডে খেলার জন্য টপ ক্যাটাগরির ওপেনারদের যেমন কোয়ালিটি থাকা দরকার সেটার ধারেকাছে নেই। '
পঞ্চপাণ্ডবহীন বাংলাদেশের এমন জয় প্রত্যাশা করেননি আকাশ নিজেও। বিশেষ করে লিটন দাস পারফর্ম করেনি, কিন্তু বাংলাদেশ জিতে গেছে- এমনটা একেবারেই প্রত্যাশিত ছিল না তার কাছে। এ দিন ১৬ বলে ২৩ রানে ফিরে যান লিটন।
পুরোনো দিনের উদাহরণ টেনে আকাশ বলেন, 'এটা বাংলাদেশের জন্য খুব ভালো ব্যাপার। অতীতেও যখন বাংলাদেশ জিততো তখন আমার ভালো লাগতো। বিশেষ করে যখন সাকিব (আল হাসান) এবং মুশফিক (রহিম) ব্যর্থ হতো এবং বাংলাদেশ জিততো তখন আমি বলতাম এটা তাদের জন্য খুব ভালো একটা জয়।'
'লিটন ছোট একটা ক্যামিও খেলেছে। লিটন ব্যর্থ হয়েছে এবং তারা জয় পেয়েছে। আমার মনে হয় এটা বাংলাদেশের জন্য দারুণ খবর। কারণ তখন আপনি বুঝতে পারবেন অন্যরা ভালো করছে এবং দুই-একজনের উপর নির্ভর করে না। অনেক দিন এটাই তাদের টেমপ্লেট ছিল।'
ব্যাটিংয়ে এ দিন সাইফের পাশাপাশি জ্বলে উঠেন হৃদয়ও। বেশ কিছুদিন রানের মধ্যে না থাকা হৃদয় এ দিন করেন ৩৭ বলে ৫৮ রান। তার ইনিংসেই মূলত মাঝের সময়টায় দাপট দেখায় বাংলাদেশ।
হৃদয়ের প্রশংসায় আকাশ বলেন, 'ব্যাটিংকে কৃতিত্ব দিতে হবে, ব্যাটিংটা হাইলাইটের জায়গা। এটা সাইফ হোক কিংবা তাওহীদ হৃদয়। আমার মনে হয় হৃদয় খুবই ব্রিলিয়ান্ট। সে যেভাবে কাভারের উপর দিয়ে খেলেছে। এমনিতেই কাভারের উপর দিয়ে খেলা খুবই কঠিন, বিশেষ করে ধীরগতির উইকেটে। এমন উইকেট আপনি বটম হ্যান্ড ব্যবহার করে খেলবেন। কিন্তু সে যেভাবে টপ হ্যান্ড ব্যবহার করেছে। মনে হয় হৃদয় ওই জায়গায় ২১ রান করেছে। যা বেশ কঠিন।'
'হৃদয়ের সবই ক্রিকেটীয় শট ছিল। সে এমন একজন না যে মাসল পাওয়ার দিয়ে খেলে। সে অনেকটা গ্রাফ্টার। টি-টোয়েন্টি খেলার জন্য তাকে এডজাস্ট করতে হয়। সে প্রপার প্লেয়ার, তিন ফরম্যাটেই ভালোভাবে খেলতে পারে। উপমহাদেশের খেলোয়াড় হিসেবে সে স্পিন ভালো খেলে। মিডল অর্ডারে খেলেন কিন্তু স্পিন ভালো খেলতে পারেন না তাহলে টিকতে পারবেন না।'