ভুল থেকে শিখছি বলেই আগে থেকে ভালো ফলাফল হচ্ছে: শান্ত

সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশের মাটিতে টেস্টে ভালো করেছে বাংলাদেশ। ২০২৩-২৫ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে ১২ ম্যাচ খেলে চারটিতে জিতেছে টাইগাররা, হেরেছে আটটি ম্যাচে। এর মধ্যে পাকিস্তানের মাটিতে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতেছে শান্তর দল।

আরো পড়ুন

সভাপতির একক সিদ্ধান্তে শান্তর অধিনায়কত্ব কেড়ে নেয়া হয়নি

৩ ঘন্টা আগে

এ ছাড়াও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে একটি টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ। শান্তর মতে, ভুল থেকে শিক্ষা নেয়ার কারণেই বিদেশের মাটিতে পারফরম্যান্স কিছুটা ভালো হচ্ছে বাংলাদেশের। তবে দলের ধারাবাহিকতা নিয়ে চিন্তিত সদ্য বিদায়ী এই অধিনায়ক।

তিনি বলেন, 'আপনি যদি শেষ দুই-এক বছরের টেস্ট দল দেখেন, আমরা দেশের বাইরে এসে এখন জিতছি বা ড্র করছি। আগের থেকে যদি আপনি বলেন, আগের থেকে ভালো হয়েছে। তবে ধারাবাহিকতার জায়গায় ঘাটতি আছে। খেলায় হারজিত থাকবে। আমার মনে হয় যে, প্রথম টেস্টটি আমরা যেভাবে ডমিনেট করে খেললাম, এই টেস্টটা আরেকটু ভালো খেলতে পারতামম ডমিনেট করে খেলতে পারতাম তাহলে উন্নতির জায়গাটা আমরা দেখতে পেতাম।'

'এই জায়গাগুলোতে শেখার বিষয় থাকেই। ভুল থেকে শিখছি বলেই আগে থেকে ভালো ফলাফল হচ্ছে। মাঝেমধ্যে আমরা জিতছি, মাঝেমধ্যে আমরা খেলাটা ড্র করতে পারছি। তবে প্রথম টেস্টটা আমরা যেভাবে খেললাম, এই টেস্ট আরো ভালোভাবে খেলা দরকার ছিল।'

আরো পড়ুন

আমার বিশ্বাস আমরা সিরিজ জিতব: তাসকিন

৩ ঘন্টা আগে

টেস্ট সিরিজ শেষ করে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। যদিও টেস্ট সিরিজ থেকে ইতিবাচক আত্মবিশ্বাস ওয়ানডেতে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে নন শান্ত, তবুও বেশ কয়েকজনের পারফরম্যান্সের কথা তুলে ধরলেন তিনি।

বিদেশের মাটিতে স্পিনারদের পারফরম্যান্সের কথা বাড়তিভাবে বললেন শান্ত। এই সিরিজে ৯টি উইকেট নিয়েছেন নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলামও নেন সমান ৯টি উইকেট। এই দুজনের টানা বোলিংও মনে ধরেছে শান্তর।

এ ছাড়াও ব্যাট হাতে এই সিরিজে সেঞ্চুরি পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। প্রথম টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি পেয়েছেন শান্ত নিজেও। ইতিবাচক হিসেবে এসবের কথাই বলেছেন শান্ত। যদিও ওয়ানডে ভিন্ন ফরম্যাট, তিনি মনে করিয়ে দিলেন সেটি।

শান্ত বলেন, 'আমার মনে হয় নাইমের বোলিংটা আমরা এই সিরিজ থেকে নিতে পারি। সাতটা টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছে তার। ডিফিকাল্ট, এভাবে সেরকম পারফর্ম করা, স্পেশালি এই টেস্ট ম্যাচের শুরুর কয়েকটা ওভার ভালো না করার পরে, যেভাবে ডে থ্রিতে বোলিং করে কামব্যাক করে নাইমের টা নিতে পারি। তাইজুল ভাই, আমরা অলওয়েজ জানি যে তাইজুল ভাই দলের জন্য ৪০-৪৫ ওভার করে বল করা এটা কিন্তু অনেক ডিফিকাল্ট একটা ব্যাপার, ঐ একই জায়গায়।'

'তাই তাইজুল ভাইয়ের পাঁচ উইকেট বা লম্বা স্পেল বোলিং করা। সো, এই জিনিসগুলো আমরা নিয়ে যেতে পারি। মুশফিক ভাই অনেকদিন পরে এরকম একটা লম্বা ইনিংস খেলেছে। সো, ওভারঅল বেশ কিছু জায়গা আছে যেগুলা নিয়ে আমরা সামনে আগাইতে পারি। ওয়ানডে সিরিজে আমার মনে হয় না এই সিরিজ থেকে খুব বেশি কিছু আমাদের নিয়ে যাওয়াটা ঠিক হবে, কারণ আলাদা ফরমেট। সো ওইটা আলাদাভাবে চিন্তা করাটাই ভালো।'