লিটনদের মনোবিদ দেখানোর পরামর্শ নান্নুর

ছবি: ফাইল ছবি

আইসিসির ভবিষ্যত সূচিতে না থাকলেও পাকিস্তানে যাওয়ার আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জিতে সিরিজের শুরুটা ভালোই হয়েছিল সফরকারীদের। তবে পরের ম্যাচেই হেরে বসে তারা। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির আগে সিরিজে আরও একটি ম্যাচ যোগ করে দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড। মূলত পাকিস্তানে যেতে দেরি হবে এমন ভাবনা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বোলিং ভালো করিনি, পরবর্তীতে ঘুরে দাঁড়াব: লিটন
২ জুন ২৫
যা হিতে বিপরীত হয়েছে বাংলাদেশের। শেষ ম্যাচে হেরে সিরিজ খোওয়ায় লিটনরা। যুক্তরাষ্ট্রের পর আরও একটি সহযোগী দেশের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারে বাংলাদেশ। এমন হারের ক্ষত নিয়েই পাকিস্তানে যান ফিল সিমন্সের শিষ্যরা। পাকিস্তানে পা রাখার পর বাংলাদেশের প্রধান কোচ জানিয়েছিলেন, তাঁর বিশ্বাস সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে হার ক্রিকেটারদের জাগিয়ে তুলবে। অথচ পুরো পাকিস্তান সফরে এমন কিছু দেখা যায়।

প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ব্যাটিং ব্যর্থতায় এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ হারেন লিটনরা। শেষ ম্যাচে এসে পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদের শতরানের উদ্বোধনী জুটিতে প্রায় দুইশর কাছে রান করে বাংলাদেশ। মোহাম্মদ হারিসের সেঞ্চুরির সামনে এই রানও যথেষ্ট হয়নি সফরকারীদের জন্য। টানা দুই সিরিজ হারে ক্রিকেটারদের মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার ছবি খুঁজে পাচ্ছেন নান্নু। এ ছাড়া পরিকল্পনাও ঘাটতি দেখছেন তিনি।
২ বছর পর বাংলাদেশের টেস্ট দলে ইবাদত
১২ ঘন্টা আগে
এ প্রসঙ্গে নান্নু বলেন, ‘পাকিস্তানে ফ্ল্যাট ট্র্যাক, বল স্কিড করে, ঘাস ছিল। সেখানে টেকনিক্যালি ভালো ব্যাটারকে খেলাতে হতো। নাজমুল হোসেন শান্তর ভালো করার সম্ভাবনা ছিল বেশি। টিম ম্যানেজমেন্ট কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি। বরং ব্যাটিং-বোলিং কোথাও পরিবর্তন হয়নি। বরং মনমানসিকতায় নিচে নেমে গেছে।’
‘এখান থেকে উত্তরণ ঘটাতে হলে একজন ভালো মনোবিদ নিয়োগ দিয়ে ক্রিকেটারদের নিয়ে আলাদা সেশন করতে হবে। খারাপ খেলার কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে। আমরা ব্যাটিং করতে পারিনি। আরব আমিরাতের সঙ্গেও না, পাকিস্তানেও না। যে উইকেটে খেলা হয়েছে সেখানে ২২৫ থেকে ২৩০ রান হওয়া উচিত ছিল।’
পাকিস্তান সফর শেষে দুই ভাগে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ঈদের ছুটি কাটিয়ে ১৩ জুন শ্রীলঙ্কার বিমান ধরবেন লিটন, নাজমুল হোসেন শান্তরা। শ্রীলঙ্কা সফরে দুটি টেস্টের সঙ্গে তিনটি করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার আগে অবশ্য মিরপুরে তিনদিনের ক্যাম্প করবেন ক্রিকেটাররা।