কি ঘটেছিল বিকেএসপিতে?

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
বিকেএসপিতে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব এবং ব্রাদার্স ইউনিয়নের ম্যাচের একটি ইনিংস মাঠে না গড়ালেও পূর্ণ দুই পয়েন্ট পেয়েছে মোহামেডান। ব্রাদার্স ইউনিয়ন ম্যাচ বয়কট করলে মোহামেডানকে বিজয়ী ঘোষণা করতে বাধ্য হন ম্যাচ রেফারি আখতার আহমেদ শিপার।
মোহামেডানের ইনিংসের পরপরই বিকেএসপির-৪ নম্বর মাঠে হানা দেয় বৃষ্টি। পরে বৃষ্টি থামলে মাঠ শুকাতেও ব্যয় হয় কয়েক ঘণ্টা সময়। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা শেষ ম্যাচের দুই আম্পায়ার মাঠ পর্যবেক্ষণ করে খেলা শুরু হওয়ার সময়সীমা ঘোষণা করেন।
সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ২০ ওভারের ম্যাচের এবং এতে ব্রাদার্স ইউনিয়নের সামনে নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৭৪ রানের। কিন্তু উইকেটের ভেজা অবস্থার কারণে ম্যাচ খেলতে অনীহা প্রকাশ করে ব্রাদার্স। তারা দাবি জানায় আগামীকাল রিজার্ভ ডে'তে নতুন করে তাদের পুরো ইনিংস খেলতে দেয়ার।

কিন্তু তাদের অভিযোগ এবং দাবি আমলে না নিয়ে নির্ধারিত সময়ে মাঠে পৌঁছে যান দুই আম্পায়ার। তখনও নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থেকে মাঠে নামেনি ব্রাদার্স। ১০ মিনিটের মতো অপেক্ষা শেষে মোহামেডানকে বিজয়ী ঘোষণা করে দেন ম্যাচ রেফারি।
বিকেএসপিতে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা নিয়ে ক্রিকফ্রেঞ্জির সাথে কথা বলেছেন ম্যাচ রেফারি আখতার আহমেদ শিপার। তাঁর ভাষায়, 'মাঠ পর্যবেক্ষণ করার পর আম্পায়াররা ঘোষণা করেছিল বিকেল ৪ঃ০৬ টায় মাঠে গড়াবে ম্যাচ এবং সেটি হবে ২০ ওভারের। আম্পায়াররা সঠিক সময়েই মাঠে গিয়েছিল কিন্তু ব্রাদার্স নামেনি। তাদের অভিযোগ ছিল মাঠ ভেজা।
'উইকেটের এক পাশ কিছুটা ভেজা ছিল। কিন্তু ঐ জায়গায় সচরাচর বল যায় না এবং কোন ফিল্ডারকেও দাঁড়ানোর দরকার হয় না। সে কারণে আমরা ভেবেছি এখানে খেলা চালানো সম্ভব। আম্পায়াররা ব্রাদার্সের জন্য মাঠে অপেক্ষা করছিল। যেহেতু তারা আসেনি, ম্যাচ বয়কট করে নিয়ম ভঙ্গ করায় মোহামেডানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে,' যোগ করেন তিনি।
এর আগে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ব্রাদার্স ইউনিয়নের সামনে ৩১৭ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিল মোহামেডান। ১৭৪ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন মোহামেডানের দুই ওপেনার ইরফান শুক্কুর এবং অভিষেক মিত্র।
ওপেনার ইরফান শুক্কুর ১০৫ বলে ৯২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এছাড়া অভিষেক মিত্র ৭৯ বলে ৬৮ ও অধিনায়ক রকিবুল হাসানের ৩৫ বলে ঝড়ো ফিফটি ৫০ এবং শেষ দিকে সোহাগ গাজীর ২৫ বলে অপরাজিত ৪৩ রানের ব্যাটিং তাণ্ডবে বড় তিনশ ছাড়ানো সংগ্রহ পেয়েছিল মোহামেডান।
ব্রাদার্সের পক্ষে বল হাতে সফল ছিলেন সাজেদুল ইসলাম এবং মোহাম্মদ শরিফ। উভয়ই তুলে নিয়েছেন প্রতিপক্ষের ৩টি করে উইকেট। আর ১টি করে উইকেট পেয়েছেন রনি হোসেন এবং বিশ্বনাথ হালদার।