স্মৃতির সেঞ্চুরিতে লঙ্কানদের উড়িয়ে ভারতের ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়

ছবি: সেঞ্চুরির পর স্মৃতি মান্ধানা, বিসিসিআই

স্মৃতির সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩৪২ রানের বিশাল পুঁজি পায় ভারত। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৪৫ রানেই থেমে যায় লঙ্কানদের ইনিংস। ফলে ৯৭ রানের বড় জয় নিয়ে শিরোপা ঘরে তোলে ভারত। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কোনো রান যোগ করার আগেই শ্রীলঙ্কা হারায় ওপেনার হাসিনি পেরেরাকে।
উইজডেনের ‘লিডিং ক্রিকেটার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ বুমরাহ-মান্ধানা
২২ এপ্রিল ২৫
এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ৬৮ রান যোগ করেন ভিশমী গুনারত্নে ও অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু। গুনারত্নে আউট হয়েছেন ৩৬ রান করে। হাফ সেঞ্চুরি তুলে আতাপাত্তু ফিরেছেন ৫১ রান। ২ রানের আক্ষেপে পুড়েছেন নিলাকশি ডি সিলভা। তিনি আউট হন ৪৮ রান করে। শেষের দিকের ব্যাটারদের মধ্যে আর কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি।

মাদাভি সামারাবিক্রমা ২৬, আনুষ্কা সাঞ্জবনী ২৮ ও সুগানদিকা কুমারি ২৭ রান করলেও তা দলের জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ভারতের বোলারদের মধ্যে একাই ৪টি উইকেট নেন স্নেহ রানা। ৩টি উইকেট নে আমানজৌৎ কৌর। একটি উইকেট গেছে নাল্লাপুরেডি চারানির ঝুলিতে।
টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন কোহলি
৩ ঘন্টা আগে
এর আগে এই ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ভারতকে দারুণ শুরু এনে দেন স্মৃতি ও প্রাতিকা রাওয়াল। তাদের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৭০ রান। প্রাতিকা ৩০ রান করে ফিরলে হারলিন দেওলকে নিয়ে আরেকটি জুটি গড়েন স্মৃতি। সেই জুটি থেকে আসে আরও ১২০ রান। আর তাতেই ভারত বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায়।
শুরুতে ধীরে খেললেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রানের গতি বাড়ান স্মৃতি। প্রথম ১৪ বলে ৫ রান করা এই ব্যাটার ৫৫ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। পরের পঞ্চাশ রান করতে তার লাগে কেবল ৩৭ বল। ইনিংসের ৩১তম ওভারে আতাপাত্তুকে টানা চারটি চার মারেন তিনি। তৃতীয় চারটি মেরেই ৯২ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন মান্ধানা।
তিনি আউট হয়েছেন দেওয়ামি ভিঙ্গার বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সামারাবিক্রমাকে ক্যাচ দিয়ে। তার ইনিংস জুড়ে ছিল ২টি ছক্কা ও ১৫টি চারের মার। ভারতের হয়ে আর কেউ হাফ সেঞ্চুরিও করতে পারেননি। হারলিন ৪৭, হারমানপ্রিত ৪১ ও জেমিমাহ রদ্রিগেজ খেলেন ৪৪ রানের ইনিংস। আর তাতেই বড় সংগ্রহ পেয়ে যায় ভারত। শ্রীলঙ্কার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মালকি মাদারা, ভিহাঙ্গা ও সুগান্দিকা কুমারি বাকি একটি উইকেট নেন ইনোকা রানাভিরা।