উইজডেনের ‘লিডিং ক্রিকেটার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ বুমরাহ-মান্ধানা

ছবি: ফাইল ছবি

চলতি বছরের জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিডনি টেস্টে চোটে পড়েছিলেন বুমরাহ। চোটে পড়ার আগে অবশ্য ২০২৪ সালের পুরোটা সময় জুড়ে ছন্দে ছিলেন বুমরাহ। গত বছর ১৪.৯২ গড়ে টেস্টে ৭১ উইকট নিয়েছিলেন তিনি। টেস্ট ইতিহাসে এক পঞ্জিকাবর্ষে তাঁর চেয়ে কম বোলিং গড়ে ৭০ উইকেট নেয়ার কীর্তি নেই অন্য কোনো বোলারের।
বুমরাহর তাণ্ডবে লক্ষ্ণৌকে উড়িয়ে দিয়ে প্লে অফের দৌড়ে মুম্বাই
২৭ এপ্রিল ২৫
কপিল দেব, অনিল কুম্বলে, রবিচন্দ্রন অশ্বিনের পর ভারতের চতুর্থ বোলার হিসেবে এক বছরে ৭০ উইকেট নিয়েছেন বুমরাহ। এ ছাড়া প্রথম বোলার হিসেবে সবচেয়ে কম গড়ে ২০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন ভারতের এই পেসার। ২০২৪ সালের জুনে ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়েও অবদান রেখেছেন তিনি। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনালে অবিশ্বাস্য বোলিংয়ের পাশাপাশি ৮ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১৫ উইকেট।

বছরের শেষের দিকে বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে ৫ ম্যাচে ১৩.০৬ গড়ে ৩২ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা হয়েছিলেন বুমরাহ। এমন পারফরম্যান্সেই উইজডেনের লিডিং ক্রিকেটার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড হয়েছেন তিনি। মেয়েদের ক্রিকেটে বছরজুড়েই ব্যাট হাতে ছন্দে ছিলেন মান্ধানা। ভারতীয় ওপেনার সব সংস্করণ মিলিয়ে ১ হাজার ৬৫৯ রান করেছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মেয়েদের হয়ে এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডও এটি।
২০২৪ সালে চারটি সেঞ্চুরি করেছিলেন মান্ধানা। যা আরও একটি রেকর্ড। যেখানে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০ উইকেটের টেস্ট জয়ের দিনে ১৪৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ব্যাট হাতে রানের বন্যা বইয়ে দিয়ে এক বছরে ২ হাজার ৩৩১ রান করেছেন নিকোলাস পুরান। এমন ব্যাটিংয়ের ফলস্বরূপ ‘লিডিং টি-টোয়েন্টি প্লেয়ার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারকুটে এই ব্যাটার।
উইজডেনের সবচেয়ে পুরনো পুরষ্কার 'বর্ষসেরা ক্রিকেটার' হয়েছেন পাঁচ ক্রিকেটার। সারের গাস অ্যাটকিনসনের সঙ্গে আছেন জেমি স্মিথ ও ড্যান ওরাল। এ ছাড়া হ্যাম্পশায়ারের লিয়াম ডওসন ও ইংল্যান্ড নারী দলের বাঁহাতি স্পিনার সোফি একলেস্টোনও আছেন তালিকায়। একক পারফরম্যান্সের জন্য উইজডেন ট্রফি জিতেছেন ভারতের বিপক্ষে ১৩ উইকেট নেয়া নিউজিল্যান্ডের স্পিনার মিচেল স্যান্টনার।