রিয়াদ ভাইয়ের জায়গায় অন্য কেউ থাকলে ম্যাচটা হারতাম: ইমরুল

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
অসাধারণ এক জয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করল বাংলাদেশ। ১৯তম ওভারে বাংলাদেশকে জেতাতে বিশাল ভূমিকা পালন করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার অনবদ্য ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ দুই পয়েন্ট পেয়েছে লাল-সবুজের দল। ম্যাচ শেষে মাহমুদউল্লাহর ভূয়সী প্রশংসা করছেন ইমরুল কায়েস।
বাংলাদেশকে জেতানোর ম্যাচে ১৩ বলে ১৬ রান তুলে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ। যদিও শ্রীলঙ্কার ছুঁড়ে দেয়া ১২৫ রানের লক্ষ্যে পৌঁছাতে খুবই কার্যকরী ছিল সেই ইনিংস। ম্যাচ জিততে শেষ দুই ওভারে ১১ রান প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের।
তবে উইকেট বাকি ছিল কেবল দুটি। সেরকম পরিস্থিতিতে দাসুন শানাকার করা ১৯তম ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান মাহমুদউল্লাহ। সমীকরণ নেমে আসে ১১ বলে ৬ রানে! এরপর তানজিম হাসান সাকিবকে নিয়ে সহজেই সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যান মাহমুদউল্লাহ। ইমরুলের মতে, তার জায়গায় অন্য কোনো ব্যাটার থাকলে ম্যাচটি হেরে যেতে পারতো বাংলাদেশ।

ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে ডিসকাশন এন্ড রিভিউ শো'তে আলোচনায় ইমরুল কায়েস বলেন, 'দেখেন অভিজ্ঞতা অনেক বড় ব্যাপার। মাহমুদউল্লাহ ভাইয়ের জায়গায় এখানে যদি অন্য কেউ থাকতো, যদি কোনও টপ অর্ডার ব্যাটার থাকতো বা প্রোপার মিডল অর্ডার ব্যাটার থাকতো, তাহলে স্নায়ুর ওপর প্রচণ্ড চাপ পড়তে পারত এবং বাংলাদেশ ম্যাচটি হেরে যেত। এখানে রিয়াদ ভাই আবার প্রমাণ করেছে যে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ভাই স্টিল এলাইভ...সে এখনও শেষ হয়নি। আমি মনে করি উনি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ফিনিশার।'
চলতি বছর স্বপ্নের মতো ফর্ম কাটাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ। এই বছর ১১ ম্যাচের আট ইনিংসে ব্যাটিং করে ১৯৩ রান করেছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। গড় ৩৮.৬০ এবং স্ট্রাইক রেট ১৪২.৯৬। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে থেকেই অসাধারণ ছন্দে আছেন ৩৮ বছর বয়সী এই ব্যাটার।
ইমরুল মনে করেন তার মতো ব্যাটার বাংলাদেশে এখনও তৈরিই হয়নি, 'এরকম ব্যাটার আমাদের এখন পর্যন্ত তৈরি হয়নি। রিয়াদ ভাই যেভাবে ২০২৩ বিশ্বকাপ থেকে খেলে যাচ্ছে, আমি তাকে লক্ষ্য করেছি... আমার সাথে সে একসাথে ঘরোয়াতে খেলেছে... বিপিএলেও দেখেছি, তার যে ব্যাটিংয়ের যে নিবেদন, সেটা পুরোই আলাদা। এটা আমার মনে হয় অভিজ্ঞতা থেকেই তৈরি হয়েছে। দেখুন একটা ছেলে অনেকদিন খেলতে থাকলে তার নিজের জন্য কোনো চিন্তা থাকে না। সে চিন্তা করে, আমার কিছুই পাওয়ার নেই, আমি যা করব দলের জন্য।'
'আমার কাছে মনে হয় রিয়াদ ভাই নিজের চাইতে দলের জন্য চিন্তা বেশি করছে। ওই জায়গা থেকে সে ম্যাচ গুলো খেলছে। এগ্রেসিভ ব্যাটিং করছে। তাকে আমি কখনো দেখি না এগ্রেসিভ ব্যাটিং করতে, প্রথম বল থেকে। সে আগের ক্যারেক্টার থেকে বের হয়ে এসেছে। সে নতুন ভূমিকা পালন করছে। এটা দলের জন্য বড় ব্যাপার। এই জায়গা থেকে আমরা রিয়াদ ভাইয়ের কাছ থেকে ভালো স্ট্রাইক রেট পাচ্ছি।'
আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যখন হবে, তখন মাহমুদউল্লাহর বয়স হবে ৪০। ততদিন পর্যন্ত ক্রিকেট খেলা নাও চালিয়ে যেতে পারেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ফিনিশার। ইমরুলও বললেন সেরকম বাস্তবতার কথা।
ইমরুল আরও বলেন, 'রিয়াদ ভাই আর খেলবে কয়দিন। আমার কাছে মনে হয় এটাই তার শেষ বিশ্বকাপ। যদি ভুল না বলি। উনার ক্যারিয়ারের বিল্ড আপ করার কিছু নেই। যে 'আমাকে আরও দুই বছর খেলতে হবে' এমনটা না। এজন্য উনি ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলছে। শেষ বিপিএল থেকে দেখেছি উনি খেলাটাকে পরিবর্তন করেছে। একজন টি-টোয়েন্টির বিশেষজ্ঞ ব্যাটারের মতো খেলছে, এসে শুরু থেকেই মারছে। ইমপ্যাক্টফুল ইনিংস খেলছে।'