তানজিম হাসান সাকিব উইকেট নিয়েছিলেন শুরুতেই। এরপর দ্বিতীয় উইকেট কুশল মেন্ডিস ও নিশান মাদুশকা ঝড়ো এক জুটি গড়ে লঙ্কানদের এগিয়ে নিচ্ছিলেন। মাদুশকাকে ফিরিয়ে ৬৯ রানের সেই জুটি ভাঙেন তানভির। এরপর একে একে আরও ৪ উইকেট নিয়েছেন তানভির। ৩৯ রানে ৫ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরাও।
বাংলাদেশকে ম্যাচ জিতিয়ে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে তিনিও আসেন সংবাদ সম্মেলনে। জানান প্রথম ২ ওভারে ২২ রান দিলেও তার প্রতি আস্থা রেখেছিলেন অধিনায়ক মিরাজ। লঙ্কান ব্যাটাররা তানভিরের ওপর চড়াও হলেও তাকে আক্রমণাত্মক বোলিং চালিয়ে যেতে বলেছিলেন অধিনায়ক।
সেই পরিকল্পনা নিয়ে তানভির বলেন, 'প্রথম দুই ওভারে যখন ২২ রান খাইছি, ক্যাপ্টেন আমার পাশে এসে বললো, তানভির, বোলাররাই মার খায়, তুই পারবি। আমি তোকে একটা বিশ্বাস দিলাম, তুই সর্বোচ্চ চেষ্টা কর। তোর ডিফেন্সিভ বোলিং এর কোনো প্রয়োজন নাই। তোর উইকেট টেকিং বোলিং করতে হবে। ক্যাপ্টেনের কথা মতো, ইনশাল্লাহ চেষ্টা করছি। আলহামদুলিল্লাহ ভালো কিছু হইছে।'
আগে ব্যাট করে ২৪৯ রান সংগ্রহের পর সবার বিশ্বাস ছিল এই রানের মধ্যেই শ্রীলঙ্কাকে বেধে রাখতে পারবেন তারা। হয়েছেও তাই। বাংলাদেশের বোলাররা শ্রীলঙ্কাকে অল আউট করে দিয়েছে ২৩২ রানে। আর তাতেই ধরা দিয়েছে ১৬ রানের জয়। ইনিংস বিরতিতেই এই ম্যাচের জয়ের আত্মবিশ্বাস পেয়েছিলেন ক্রিকেটাররা।
তানভির বলেছেন,' প্রথম আমরা যখন রানটা করছিলাম, ক্যাপ্টেন এবং আরো ম্যানেজমেন্ট যারা ছিলো, সবাই বলছে এই রানটা আমরা ডিফেন্ড করতে পারবো। কারণ আমরা যদি এরকমভাবে উইকেট আমাদের পরে যায়, এত কম রানে ইনশাল্লাহ আমরা আমাদের সবার ভিতরে সেই বিশ্বাসটা, ক্যাপ্টেন এবং ম্যানেজমেন্ট সবাই দিয়েছে যে আমরাও পারবো।'