আমি সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি: রিশাদ

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
একজন বিশেষজ্ঞ লেগ স্পিনারের জন্য বাংলাদেশের হাহাকার অনেকদিনের। জুবায়ের হোসেন লিখন থেকে শুরু করে, তানবির হায়দার ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে দিয়েও সেই শূন্যতা পূরণের চেষ্টা করেছিল বাংলাদেশ। তবে সেই চেষ্টা সফল হয়নি।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর রিশাদ হোসেনের মতো একজনকে পেয়েছে বাংলাদেশ। তিনিই জাতীয় দলের লেগ স্পিনারের চাহিদা মেটাচ্ছেন এখন। এক সময় ঘরোয়া ক্রিকেটেও তার একাদশে জায়গা হতো না। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নিজের ব্যাটিং প্রতিভা দেখিয়ে নিয়মিত খেলছেন তিনি।

ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে বিশ্বকাপ দলেও জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক এই রিশাদই। শ্রীলঙ্কাকে ১২৪ রানে আটকে ফেলতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন তিনি। বল হাতে ৪ ওভারে ২২ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন রিশাদ।
সেই সঙ্গে মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, তাওহীদ হৃদয় ও লিটন তাদের অবদান অস্বীকার করা না গেলেও রিশাদের প্রভাবই সবচেয়ে বেশি। তাই ম্যাচ শেষে তার হাতেই উঠেছে ম্যাচ সেরার পুরষ্কার। রিশাদ একটি স্পেলেই মূলত ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন।
ইনিংসের ১৫তম ওভারে এসে প্রথম বলেই নিয়েছেন চারিথ আসালাঙ্কার উইকেট। পরের বলে রিশাদের শিকার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। জাগিয়েছিলেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও। তবে হ্যাটট্রিক না হলেও এরপর আর বড় স্কোর গড়ার সুযোগ পায়নি শ্রীলঙ্কা। ১৭তম ওভারে এসে তিনি আউট করেন আক্রমণের অপেক্ষায় থাকে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে। ফলে শেষের দিকেও ঝড় তোলার সুযোগ হাতছাড়া হয় শ্রীলঙ্কার।
ম্যাচ শেষে রিশাদ বলেছেন নিজের সেরাটা উজাড় করে দিয়েছেন তিনি। টানা দুই উইকেট নিয়েও স্নায়ুচার ধরে রেখেছিলেন তিনি। রিশাদ বলেছেন, 'পিচ ভালো ছিল। আমি নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টাটা করেছি। নিজের শক্তির জায়গায় অটুট থেকেছি... (হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনার সময়) স্বাভাবিক বলই করার চেষ্টা ছিল, সামর্থ্যের সবটুকু দিয়েছি।'
বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটার অঙ্কুরেই বিনাশ হয়েছেন। প্রতিভার আবির্ভাব দেখিয়ে ঝড়ে পড়েছেন শুকনো পাতার মত। রিশাদ যেন হারিয়ে না যান সেই প্রত্যাশাতেই থাকবেন বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা। বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের বাকি আরও তিনটি ম্যাচ। সব বাধা পেরিয়ে সুপার এইটে যেতে রিশাদকেই রাখতে হবে বড় ভূমিকা।